অনলাইন ডেস্ক: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, বিএনপিতে অনেক যোগ্য নেতৃত্বকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। যোগ্য নেতৃবৃন্দকে আরও মূল্যায়ন করা উচিত। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি, দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার দাবিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। সংগঠনের সহসভাপতি প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ খান ও মুক্তিযোদ্ধা শাহাব উদ্দিন রেজার পরিচালনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, আজ হাজার হাজার তরুণ ছাত্রছাত্রী রাস্তায় নেমেছে। ৫৬ শতাংশ কোটা বিশ্বের কোনো দেশে নেই। আমাদের দেশের কোটাব্যবস্থা অসভ্যতার পরিচায়ক। কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানাই। মেজর হাফিজ বলেন, ছাত্রসমাজকে বলব মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আশা করি কোটা আন্দোলন সফল হলে তোমাদের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে রাজপথে লড়াই করতে হবে। আমরা তোমাদের সঙ্গে থাকব ইনশা আল্লাহ। সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন হয়নি। আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠা ও গুলির সামনে দাঁড়াতে হলে সে রকম নেতৃত্ব দরকার। কিন্তু আমি বলব আমরা মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। আবারও মুক্তিযোদ্ধাদের আগামীতে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে হবে। সেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ‘সাম্য, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলাম। মূলত গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু সেই গণতন্ত্র দেশে নেই। আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি চাই না। মেধার ভিত্তিতে চাকরি চাই। আজ যাদের মুক্তিযোদ্ধা রাখা হয়েছে তারা কারা? যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা ছিল মাত্র ৮০ হাজার। তারা তো কোনো কোটা চাননি। এখন কোটা রাখা হয়েছে ভুয়া আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। আমরা খুব বড়জোর ৫ ভাগ কোটা রাখার পক্ষে। হাফিজ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তাঁর সঙ্গে আমার বহু বছরের পরিচয়। তাঁকে সব সময় আমি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী দেখেছি। কিন্তু সম্প্রতি কোরবানি ঈদের সময় দেখলাম তিনি কথা বলতে বলতে হাঁপিয়ে ওঠেন। কিন্তু এ সরকার তাঁকে সুচিকিৎসা দেয়নি। আসলে এ সরকার কোনো সম্মানিত ব্যক্তিকে সম্মান দেয় না। তার সর্বশেষ উদাহরণ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয়। এ সংগঠনটি ছাত্রসমাজের কলঙ্ক। তিনি ভারতের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্সা হওয়া উচিত। প্রতিবেশী দেশ আমাদের মরুভূমি বানাতে চায়। দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে দেশ। আওয়ামী লীগ দুর্নীতিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। দলীয় সমর্থনপুষ্ট আমলারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখেছে। জনগণ ভোট দেয় না। পরপর তিনটি প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। সুতরাং আওয়ামী লীগের কোনো নৈতিক অধিকার নেই ক্ষমতায় থাকার।
n/v