গাউছ-উর রহমান, মাদারীপুর : বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান এমপি বলেছেন, বাংলার শ্রমিক-কর্মচারী পেশাজীবীদের একত্রে করে বারবার প্রতিবাদী আন্দোলন করার করানো ক্ষুব্ধ বিএনপি ও জামায়াত-শিবির। সুযোগ পেলে বিএনপির পালিত সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যা করবে।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে মাদারীপুর শহরের লেকেরপাড়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ‘শাজাহান খানের মালিকানাধীন বিলাসবহুল বাস ও তেলের পাম্প ভেঙে শাজাহান খানকে দুর্বল করা যাবে না। হামলাকারীরা মনে করছে, শাজাহান খানের ক্ষতি করলে সে পিছু হটবে। কিন্তু না, শাজাহান খান পিছু হটার মানুষ নয়। এই অত্যাচার, নির্যাতন ও খুনের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করব। ২০১৩-২০১৪ ও ২০১৫ সালে সবাই মিলে যেমনই নাশকতাকারী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলাম, ঠিক তেমনি এবার একইভাবে সবাই মিলে এই নাশকতাকারীদের প্রতিহত করব। আজকে আমার সম্পদ পুড়িয়েছে, কালকে অন্য কারও ক্ষতি হতে পারে। তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যাতে আগামীতে নাশকতাকারীরা আর কোনো সুযোগ না পায়।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান আরও বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ অফিস, পুলিশের ফাঁড়ি ও থানা। এমনকি মুক্তিযোদ্ধাদের কমপ্লেক্স ও মুক্তিযোদ্ধা কমিউনিটি সেন্টার। এসব স্থাপনা পুড়িয়ে ও ভাঙচুর করে তছনছ করেছে। দেশকে মুক্তিযুদ্ধে ইতিহাস সন্ত্রাসী মুছে দিতে চায়। নাশকতাকারী বিএনপি-জামায়াত-শিবিরকে পরিষ্কার বলে দিতে চাই, জীবনে একদিন জন্মগ্রহণ করেছি ও একদিন মৃত্যুবরণ করব। বাঘের বাচ্চার মতো মরতে চাই, ছাগলের বাচ্চার মতো নয়।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, মাদারীপুরের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি হাফিজুর রহমান যাচ্চু খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহজাহান হাওলাদার প্রমুখ।
আরও খবর...