বরগুনায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ১০ জনের ৭ জনই মাদারীপুরের ॥ শোকে স্তব্ধ পুরো গ্রাম
সর্বশেষ পরিমার্জন:
রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪
৩০
বার পঠিত
»»»»» »»»»»
গাউছ-উর রহমান, মাদারীপুর : বরগুনার আমতলীতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ১০ জনের মধ্যে ৭ জনই মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহাপাড়া এলাকার সাবেক সেনা সদস্য মাহাবুবর রহমান সবুজ এর পরিবারের সদস্য। শনিবার(২২ জুন) দুপুরে বরগুনা জেলার আমতলী এলাকার হলদিয়া – চাওড়া সীমান্ত বর্তী চাওড়া হলদিয়া খালের ওপর লোহার ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস পানিতে পড়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনায় নারী-শিশুসহ ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় তিনটি পরিবারের ৭ সদস্য হারান শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহা পাড়া এলাকার সাবেক সেনা সদস্য মাহাবুবুর রহমান সবুজ। সবুজ এই এলাকার ফজলুর রহমান খানের ছেলে।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর গ্রামের বাড়িতে পৌছালে শোকের মাতম উঠে বাড়িতে। এলাকাবাসী এসে ভিড় জমায় মাহাবুবুর রহমান সবুজের বাড়িতে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার(১৯ জুন) সকালে শিবচর থেকে মাহাবুব এবং তার পরিবারের সদস্যরা খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শনিবার দুপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় মাহাবুব ও তার পরিবারের সদস্যদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি একটি লোহার ব্রীজ ভেঙে খালে পড়ে যায়।
এ ঘটনায় মাহাবুবের ভাই সোহেলের স্ত্রী রাইতি(৩০), শ্বাশুড়ী রুমি বেগম(৪০), মাহাবুবের মা ফরিদা বেগম(৪০), মামী মুন্নি বেগম(৪০), তার সন্তান তাহিয়া(৭), তাসদিয়া(১১), আরেক মামী ফাতেমা বেগম(৪০)। এছাড়া আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং কন্যা রিদি(৫) সহ ১০ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতদের আত্মীয় শুক্কুর আলী নামের এক যুবক বলেন,’বুধবার বিয়ের অনুষ্ঠানে তারা বরগুনা গেছিল। আজ দুপুরে ব্রীজ ভেঙে সেখানে খালে পড়ে যায় তাদের মাইক্রোবাসটি। মাহাবুবের মা, ভাইয়ের স্ত্রী ও মামার পরিবারের মোট ৭ সদস্যদের মৃত্যু হয়েছে।’
দুলাল মাতুব্বর নামের আরেক ব্যক্তি বলেন,’পুরো গ্রামে শোকে স্তব্ধ। দুই পরিবারের মোট ১০ সদস্য মারা গেছে। আমরা খবর পেয়ে মাহাবুবের বাড়িতে এসেছি। ওদের পরিবারের কেউ বাড়িতে নেই। সবাই ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। এখন বাড়িতে কেউ নেই।’
ভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বেপারী বলেন,’ আমরা খবর পেয়েই বাড়িতে এসেছি। আসলে এতো বড় দূর্ঘটনায় আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। এখন তাদের মরদেহ বাড়িতে আনার প্রস্তুতি চলছে বলে খবর পেয়েছি।’
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,’আমি বিষয়টি জেনেছি। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা।’
সন্ধ্যা ৭ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের মরদেহ বাড়িতে আনার প্রস্তুতি চলছে।