মশি উদ দৌলা রুবেল: ফেনীর দাগনভূঞা পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের অভিরামপুর এলাকায় ৫ তলা ভবন দখল করতে নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।এরপর ভবনটির মালিক আবদুল গফুর ভূঞা মারা যাওয়ার পর ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।নিহতের স্বজনদের অভিযোগ,ক্যান্সার আক্রান্ত গফুর ভূঞা ওই দিনের ঘটনায় হামলার শিকার হন।এরপর থেকে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।পরবর্তীতে ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
রোববার (০২ জুন) নিহতের ছেলে রিয়াদ হোসেন বাদী হয়ে ফেনীর জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামার পুকুরিয়া গ্রামের ছায়দুল হকের ছেলে জয়নাল আবেদীন মামুন (৫০) সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এই ঘটনায় একটি সিআর মামলা দায়ের করেন।দাগনভূঞা আমলী আদালতের পেশকার জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,বিচারক ফারহানা লোকমান মামলার বাদীকে পরীক্ষা করে দাগনভূঞা থানাকে মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু ও আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ প্রদান করেন।
এর আগে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়,দাগনভূঞা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগতপুর এলাকার কাতারপ্রবাসী আবদুল গফুর ভূঞা প্রায় ১৫ বছর আগে স্থানীয় পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের পলাশ চন্দ্র সাহার কাছ থেকে ৬ শতক জায়গা কেনেন।ওই জায়গায় ২০১৩ সালে ৫ তলা ভবন নির্মাণ করেন।২০২৩ সালে কাতার থেকে দেশে ফেরেন গফুর ভূঞা।ইতিমধ্যে পলাশ চন্দ্র সাহার ভাগ্নে সয়েল সাহা নিজেকে ওই জায়গার মালিক দাবী করেন।তার কাছ থেকে জায়গাটির আমমোক্তারনামা নেন ইকবাল।সে উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীন মামুনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।
মৃত্যুর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) গফুর ভূঞা অভিযোগ করেন,বিভিন্ন সময় ওই বাড়ি থেকে তিনি ও তার পরিবারকে উচ্ছেদ,বাড়িটি দখলে নিতে হুমকি-ধামকি দেন চেয়ারম্যান মামুন।বিষয়টি নিয়ে তারা জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন।