আবুল হাসনাত রিন্টু: ফেনীর সোনাগাজীতে যুবলীগ কর্তৃক হামলার স্বীকার গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী হৃদয়ের (২২) বিরুদ্ধে এবার মামলা করা হয়েছে। উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের চরডুব্বা গ্রামের কামাল উদ্দিন তাঁর ছেলে ও আত্মীয়র ওপর হামলার অভিযোগে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে গত রবিবার রাতে সোনাগাজী থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় হৃদয় প্রধান আসামি। একই মামলায় হৃদয়ের ওপর হামলার ঘটনায় অন্য আহত যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে। কামাল উদ্দিনের মামলায় অন্য আসামিরা হলেন ছাত্রলীগ নেতা মো. সাইমুন, মো. তামিন, মো. সাগর, মো. ইমন, মো. সাহেদ, তাওহীদ, মো. সিয়াম, আওয়ামী লীগ নেতা মেজবাহ উদ্দিন ওরফে ব্যারিস্টার ও এমরান।
কামাল এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া ছেলে আইন উদ্দিনের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা হৃদয়ের পূর্ববিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে গত ২৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পথে আসামিরা আইন উদ্দিন এবং আত্মীয় ফয়েজ উল্যাহর ওপর হামলা করেন। এ সময় তাঁরা আহত হন।
অন্যদিকে আহত ছাত্রলীগ নেতা হৃদয়ের পরিবার ও দলীয় নেতাদের দাবি, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে চরডুব্বা গ্রামের শফি উল্যাহর ছেলে যুবলীগের কর্মী আরিফ হোসেন ও সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২০ থেকে ২২ জন কর্মী দোকান কর্মচারী ইফরান হোসেনের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে তেড়ে যান। এ সময় ঘটনাস্থল (মধ্যম আহম্মদপুরের বাঁশতলায়) দিয়ে যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেন নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছিলেন। তিনি হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করেন। তবে তাঁরা মোশারফের ওপর হামলা চালান। তাঁর সঙ্গে থাকা আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি হৃদয়ের দুই পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়।
Leave a Reply