বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো: প্রশাসনের সাময়িক নিষ্ক্রিয়তায় দেশ জুড়ে চলছে লুটপাট অগ্নিসংযোগ ভাঙচুর দখল হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পদ ভাঙ্গা হচ্ছে মন্দির একদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবিতে সরকার পতনের বিজয়ের উল্লাসে দেশ। অপরদিকে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় নগর জুড়ে চলছে দোকানপাট ভাঙচুর লুটপাট। পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর এবং তাদের বাড়িঘরে হামলাও মালামাল লুট সাথে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
এধরনের লুটপাটের ঘটনা ঘটতে শুরু হয় বঙ্গভবন থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার খবর দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে উল্লাস বাধভাঙ্গা বিজয় উচ্ছ্বাসের মধ্য দুষ্কৃতকারীরা ঢুকে দেশর সকল জেলাগুলোতে ঘটায় এ ধরনের নেককারজনক ঘটনা।
তাণ্ডব চলেছে সারাদিন রাত। তারমধ্য উল্লেখযোগ্য ভাবে খুলনা নগরীর হেলাতলার বেশ কিছু স্বর্ণের দোকান মুদি দোকানসহ পাইকারি দোকান ভেঙে লুটপাট করেছে পণ্য সামগ্রী অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে পেট্রোল পাম্প থানা ও আওয়ামী লীগ কার্যালয় ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে সাধারণ জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা। অনেকে ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
তবে দেশের সর্বসাধারণের অনাকাঙ্ক্ষিত এ ধরনের ঘটনা কখনো কাম্য ছিল না যা মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
সেদিকে লক্ষ্য না রেখে দেশের গুরু দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন বর্তমান সেনাপ্রধান। তিনি শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার পর বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম কর্মী এবং রাজনৈতিক সংগঠন-বিএনপি জামাত ও সুশীল সমাজের সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে তিনি বলেছেন দেশের জানমাল রক্ষার্থে এবং সাধারণ মানুষের পাশে থেকে দেশ পরিচালনা করতে আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমি এই গুরুদায়িত্ব পালন করব।
তিনি আরো বলেন দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এদেশের সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের আস্তা ও নিরাপত্তায় সর্বদা অবিচলিতভাবে নিয়োজিত রয়েছে। তাই আজ ছাত্র জনতা ও সকল শ্রেণী পেশার মানুষের এক দফা দাবি আদায়ের চাওয়া পাওয়ার প্রতিফলন ঘটেছে। তবে মাঝপথে চলমান আন্দোলনরত বেশ কিছু ছাত্রসহ সাধারণ মানুষের জীবন অবসান ঘটেছে যা এদেশের মানুষের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত দুঃখজনক।
তিনি এ সময় আরো বলেছিলেন দেশের জনগণ উল্লাস করবে আনন্দ করবে বিজয় মিছিল করবে কিন্তু কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে দেশের জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করবেন না। তবে তিনি
এ কথা বললেও তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসন ও তার নিজস্ব বাহিনীর হাতে কোন ক্ষমতাই ন্যস্ত করেননি বিধায় এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে চলেছে। ফলে দেশজুড়ে জনসাধারণের সয়সম্পত্তি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ভাঙচুর রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট একেবারেই অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলছে আরএই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ীভাবে চলমান থাকলে দেশ জুড়ে নেমে আসবে চরম বিশৃঙ্খলা। আর এই অবস্থার মধ্য চোখের সামনে নিজস্ব সম্পত্তি লুটপাট হয়ে গেলেও নির্বাকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া প্রতিবাদ করার কোন শক্তি-সঙ্গতি কারোরই হচ্ছে না কারণ মাল গেলেও জীবন রোষনালে কেউ পড়তে চাচ্ছে না। উগ্র ও নিকৃষ্ট পন্থী এক শ্রেণীর মানুষ লিপ্ত হয়েছে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজে যেমনটি ঘটেছিল দেশ স্বাধীনের অল্প কিছুদিন পূর্বে। তবে এই মুহূর্তে দেশের জনগণের জানমাল রক্ষার স্বার্থে সেনাপ্রধান এর সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ একান্তই বাঞ্ছনীয়। তবে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেশজুড়ে সমন্বয়কদের দৃষ্টিগোচর হলে সাথে সাথে পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে এবং নিরাপদ নিশ্চিন্তে থাকার আশ্বাস দিয়েছে এবং প্রতিটি মহল্লা ভিত্তিক মসজিদে গিয়ে মাইকিং করে তাদের মোবাইল নাম্বার ও সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন। অপরদিকে দেশের সকল শ্রেণীর যুব সমাজকে দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা সহ ধ্বংসাত্মক মূলক হামলা হাঙ্গামা লুটপাট যারা করছে তাদের কঠোর হতে দমন এবং অসহায় মানুষদের পাশে থাকার জন্য আহ্বান করেছেন। এদিকে সকাল থেকে সেনাবাহিনী পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের মাঠে নেমে তৎপরতা চালাতে দেখা গেছে।
আরও খবর...