1. smborhan.elite@gmail.com : Borhan Uddin : Borhan Uddin
  2. arroy2103777@gmail.com : Amrito Roy : Amrito Roy
  3. news.rifan@gmail.com : admin :
  4. holysiamsrabon@gmail.com : Siam Srabon : Siam Srabon
  5. mdr028999@gmail.com : Rayhan : Md Rayhan
পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবির গুলি করার অনুমতি ছিল না, বিচার হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী - The NAGORIK VABNA
শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৫ অপরাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা
সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি/সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা শীঘ্রই নির্দেশনাবলী পড়ে আবেদন করুন অথবা 09602111973 বা 01915-708187 নাম্বারে যোগাযোগ করুন...
আজকের শিরোনাম :
সুজনের শার্শা উপজেলা কমিটি গঠন কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডের যানজট নিরসনে পেট্রোলপাম্পটি স্থানান্তর প্রয়োজন মাদারীপুরে দুর্নীতি ও হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে অভিনব প্রতিবাদ  মাদারীপুরে গ্রাম আদালত পরিচালনায় স্থানীয় অংশীজনদের সাথে জেলা প্রশাসকের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত  আমতলীতে এক দফা দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন বাঁশখালীতে গাঁজা ও নগদ টাকাসহ এক মহিলা আটক  শিক্ষাই মানুষের উন্নতির চাবিকাঠি এই চিন্তায় এগিয়ে চলছে মহেশপুরের গোপালপুর পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাজনগর আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ২জন গ্রেপ্তার রাজশাহী-পুঠিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে কিশোরীর মৃত্যু ছাত্র জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবির গুলি করার অনুমতি ছিল না, বিচার হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

  • সর্বশেষ পরিমার্জন: শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪
  • ৯৮ বার পঠিত

»»»»» »»»»»

অনলাইন ডেস্ক: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা দমাতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি কারও গুলি করার অনুমতি ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এই সময়ে হতাহতের প্রতিটি ঘটনা বিচার বিভাগীয় কমিশন দিয়ে স্বাধীনভাবে তদন্ত করে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি এবং অন্য যারা আছেন– কাউকেই গুলি করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে তাদের সংবিধান এবং আইন রক্ষায় কাজ করতে হয়েছে। এ সময়ে ক্ষেত্রবিশেষে কেউ কেউ মাঠে যে আইন ভাঙেননি, তা অস্বীকার করছি না। আমরা তদন্ত করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনব। পুরো পৃথিবীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। সরকারের দায়িত্ব হলো, যারা আইন ভেঙেছে, অন্যায় করেছে, তাদের তদন্ত করে বিচারের মুখোমুখি করা।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চায় আইনের প্রয়োগ ঘটবে শুধুমাত্র সন্ত্রাসীদের ওপরে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণসাপেক্ষে ফৌজদারি অপরাধের সাথে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের ওপরে আইনের প্রয়োগ ঘটবে, তাদের গ্রেফতার করা হবে। কোন সাধারণ শিক্ষার্থী কোনভাবে যেনো হয়রানির শিকার না হয়, এটি আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছি। পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলাপ হয়েছে, যে সকল শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ছিল, স্লোগান দিয়েছে, পানি বিতরণ করেছে তাদেরকেও যেন কোনোভাবে হয়রানি করা না হয়, তাদের পরিবারের কোনো সদস্য যাতে কোনভাবে নাজেহাল না হয়। কারণ সব শিক্ষার্থী এবং আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের আবেগ-অনুভূতিকে আমরা শ্রদ্ধা করি। এর সাথে আমাদের পুরো সমবেদনা ও সমর্থন আছে। কিন্তু তাদের আবেগকে পুঁজি করে যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তারা সাধারণ শিক্ষার্থী নয়। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, শিক্ষার্থী যারা তাদের আবেগ নিয়ে আন্দোলনে ছিলেন, কোনভাবে যাতে একটি শিক্ষার্থীও নাজেহাল না হয় আর সন্ত্রাসীদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।

ব্রিফিংয়েতথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে বিগত দিনগুলোতে যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, এ বিষয়গুলো সরকারের জন্য, দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য, বিশেষ করে যারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সবার জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং খুবই দুঃখের। সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নিজে এবং আমি বহুবার গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছি এবং প্রতিটি হতাহতের ঘটনার জন্য নিন্দা জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ১৬ জুলাই জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণ ঘোষণা দিয়েছিলেন একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করবেন এবং এটি গঠিত হয়েছে। স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে প্রতিটি হতাহতের ঘটনা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে আমরা বিদেশি কোন এক্সপার্টেরও সহায়তা নেবো। এখানে আমরা পুরোপুরি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতায় থাকতে চাই।

তিনি বলেন, হতাহতের ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যারা পরিবারের সদস্য হারিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তাদের অনেকের সাথে গণভবনে দেখা করেছেন, কথা বলেছেন। সে সময় আমিও উপস্থিত ছিলাম। সেখানে আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরাও ছিল। তাদের সাথে আমারও আলাদাভাবে কথা হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে, আমরা কোনো কিছু চাই না, আমরা বিচার চাই।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিটি মৃত্যুর জন্য, প্রতিটি হতাহতের ঘটনার জন্য আজ সরকার এবং বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত, দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। হয়তো কোনো একটি তৃতীয় পক্ষ এটার সুবিধা নিচ্ছে। কিন্তু যদি ক্ষতিগ্রস্ত কেউ হয়, প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সে পরিবার যারা সরাসরি তাদের সদস্যদের হারিয়েছেন এবং তারপর এ সরকার ও এ দেশ। এ মৃত্যুগুলো, ঘটনাগুলোকে ঘিরে আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং বদনাম করার এক ধরণের অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। এসব ঘটনার ক্ষতিগ্রস্তরা যেমন বিচার চান, সরকারও একইভাবে বিচার চায়। আমরা এটার গভীরে যেতে চাই এবং প্রতিটি দায়ী ব্যক্তিকে আমরা বিচারের মুখোমুখি করতে চাই। কারণ এখানে সরকারও ক্ষতিগ্রস্ত। একটি মৃত্যু সরকারের কাছে কাম্য ছিল না। প্রতিটি মৃত্যু এবং হতাহতের ঘটনা আমাদের বুকের ওপরে ভারী হয়ে আটকে আছে। এ মৃত্যু এবং হতাহতের ঘটনার জন্য সরকার দুঃখিত।

তিনি বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য উদ্বিগ্ন ছিল। সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেয়েছে। তাদের মধ্যে ঢুকে তৃতীয় পক্ষ যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে তাদের ওপরে আইনের প্রয়োগ করতে গিয়ে জটিল অবস্থায় পড়তে হয়েছে।

এখনও যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলন করছে তাদের উদ্দেশে এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা আবেগ রাস্তায় নিয়ে যাচ্ছেন, তাদের খেয়াল করতে হবে, ইতোমধ্যে আমরা অপব্যবহার দেখেছি সন্ত্রাসী ও তৃতীয় পক্ষ দ্বারা। আবার সন্ত্রাসীরা যদি এটাকে সুযোগ হিসেবে নেয়, আবার তারা যদি হতাহতের, সংঘাতের অবস্থা তৈরি করে, তার দায় কে নেবে? এখানে শিক্ষার্থীদের একটা দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। কারণ তৃতীয়পক্ষ বসে আছে দেশকে অরাজক পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

 

n/v

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরও খবর...

আপনি কি লেখা পাঠাতে চান?