পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের বাদুরা গ্রামে গনপিটুনিতে কবির মৃধা (৩৫) নামে এক চোর নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাত্র আড়াইটার সময় বাদুরা এলাকার একটি বাড়ীতে চুরি করতে গিয়ে কবির মৃধা গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। নিহত কবির মৃধা বাদুরা গ্রামের কাদের মৃধার ছেলে।
ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন মল্লিক স্বপন জানান, শুক্রবার রাত তিনটার দিকে কবির মৃধা চুরির উদ্দেশ্যে পনির মৃধার ঘরের দরজার খিল চাকু দিয়ে সরিয়ে ঘরে ঢুকে। এ সময় পনির মৃধার স্ত্রী শাহিদা বেগম টের পেয়ে জেগে ওঠে কবিরকে ধরতে যায়। সে সময় কবির শাহিদার উপর হামলা করে। এ সময় গৃহকর্তা পনির জেগে উঠলে কবির মৃধা তাদের দুজনকে কামড়ে আহত করে। তখন পনির ও তার স্ত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে কবিরকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। সকাল ৮টার দিকে আহত কবির কে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন মল্লিক স্বপন। আহত পনির ও তার স্ত্রীর শাহিদাকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শংকরপাশা ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন মল্লিক স্বপন জানান, কবির মৃধা একজন পেশাদার চোর। তার বাড়ী বাদুরা এলাকায় হলেও সে বাগেরহাটে থাকতো।
স্থানীয় ৯ নং ইউপি সদস্য বাহাদুর হোসেন গাজী বলেন, শুক্রবার রাত্র আড়াইটার সময় পনীর মৃধার বাড়িতে চুরি করার সময় পনীর ও তার স্ত্রী সরাসরি কবীরকে ধরে ফেলে এবং এসময় তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে কবীরকে গনপিটুনি দেয় এরপর পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করে।
অন্যদিকে নিহত কবীরের মা ও স্ত্রী বলেন বৃহস্পতিবার বিকালে তার চাচাত ভাই রিপন কবীরকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর কবীরের সাথে যোগাযোগ করে তাকে আর পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আঃ জাঃ মোঃ মাসুদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে পুলিশ চোর কবিরকে জেলা হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হয়। এজাহার পেলে ব্যবস্থার কথা জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, নিহত কবির মৃধার বিরুদ্ধে পিরোজপুর, বাগেরহাট ও ইন্দুরকানী থানায় ৬টি চুরির মামলা রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ন/ভ