নুরুজ্জামান, পাথরঘাটা(বরগুনা): পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ডের মোঃ ফোরকান মুন্সি বাবার বসতঘরের বারান্দায় বসবাস করেন।গতকাল ৩১-০৮-২৪ তারিখ রোজ শনিবার সকাল ১০ ঘটিকার দিকে ঘর ভাংচুর করে বোনেরা সম্পদ লুটে নেয় বলেও জানান ফোরকান মুন্সি। তিনি বলেন আমার রুমের তালা ভেঙে আলমারির ড্রয়ার থেকে এক লক্ষ আঠারো হাজার টাকা ও আট আনার একটি চেইন সহ প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে যায়। আমার ছোট একটি মেয়েকে বেধড়ক মারধর করে। আমার প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র গুলো ভেঙ্গে ফেলে আমার মা এবং বোনেরা মিলে। আমার সাথে দ্বন্দ্ব আমি স্ত্রীকে ঘরে রাখতে পারবো না। তাদের নির্যাতনে এক এক করে চারটি বিবাহ করি। মতের অমিল হলেই তালাক দিতে বলে। তালাক না দিলেই বোনেরা আমাকে নানান ভাবে অত্যাচার করে। পরে আমি স্থানীয় লোকজনকে ডেকে বিষয়টি জানাই। কিন্তু আমার বোন আয়শা ও রেখা তাদেরকে মারধর করবে বলেও হুমকি দেন।
স্থানীয় একজন মুরুব্বি আঃ লতিফ মুন্সি জানান, আমি বিষয়টি শুনে দেখতে আসছি। ওরা আমার সম্পর্কে নাতি হয়। আমি আসার সাথে সাথে আমাকে লাঠি নিয়ে মারতে উঠে। পরে আমি স্থান থেকে চলে আসি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর চরদুয়ানী ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ হাবিব খাঁ বলেন, ফোরকানের মা ও বোনদের আচরণ মোটেও ভালো না। এলাকার কেউ তাদেরকে ভালো জানেন না। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাদেরকে মারধরের হুমকি দেন।
স্থানীয় আসাদুল নামের এক ব্যক্তি সংবাদকর্মীদের কাছে বলেন, আপনারা নিরপেক্ষ ভাবে এলাকায় জিজ্ঞেস করুন একটি লোকও তাদেরকে ভালো বলবে না। কারো সাথে কিছু হলেই মা-মেয়েরা মিলে তাদেরকে হুমকি দেন।
ফোরকানের মা ঘটনা স্বীকার করে বলেন, আমি নিজে তালা ভেঙ্গে চেইন আর প্রয়োজনীয় কাগজ গুলো নিয়ে রাখছি। একই কথা ফোরকানের বাবাও স্বীকার করেছেন। ফোরকানের বাবা বলেন, ওর কাছে কোন টাকা ছিলো না বলে অস্বীকার করেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন, আমি শুনছি এরকম একটি ঘটনা হয়েছে। আমি বর্তমানে ঢাকায় অসুস্থ অবস্থায় আছি। তবে ফোরকানের মা উশৃংখল বলে জানান।