পাগলা মসজিদের সিন্দুকে এবার মিলল ২৮ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

সর্বশেষ পরিমার্জন: শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪
৬৩ বার পঠিত

»»»»» »»»»»

সাইফুল্লাহ সাইফ : কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর পাড়ে ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স আছে। যা প্রতি তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৩ মাস ২৭ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৮টায় ৯টি দানবাক্স ও একটি ট্যাঙ্ক থেকে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। গণনায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ৩৫০ জনের একটি দল।এরই মধ্যে পাওয়া গেছে, বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত চলছে গণনার কাজ চলমান রয়েছে। টাকা গণনার কাজ করছেন ব্যাংক কর্মকর্তা ও মাদরাসার ছাত্ররা।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এবার ৩ মাস ২৭ দিন পর দানবাক্স খুলে এবার রেকর্ড ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া ।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্সে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গিয়েছিলো। এছাড়াও তখন বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৭ আগষ্ট) সকালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তরিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খুলে ২৮টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।

কিশোরগঞ্জের জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কাজী মহুয়া মমতাজ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ মাদরাসার ২৫৭ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৭০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য মিলে টাকা গণনার কাজে অংশ গ্রহণ করেন।