পদ্মা নদীর পানি আকস্মিক বৃদ্ধি পাওয়ায় নাটোরের লালপুর উপজেলার চরাঞ্চলের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বিঘা ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী হার্ডিং ব্রিজ পয়েন্টে পানির লেভেল ১৩ দশমিক ৩২ মিটার বলে জানা গেছে। সে অনুযায়ী বর্তমানে লালপুরে পদ্মার পানি বিপদ সীমার ১ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার ৪১০ হেক্টর আখ, ৪৫ হেক্টর শাকসবজি, ১০ হেক্টর কলা ও ১০ হেক্টর মাসকালাই পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া, চরাঞ্চল গোখাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছে শতাধিক গরু মহিষ খামারিরা।
সরজমিন দেখা গেছে, গত তিনদিন পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিমতলি,চরজাজিরা,নওশারা সুলতানপুর, চাকলা বিনোদপুর, দিয়াড়শংকরপুর, আরাজি বাকনাই, রসুলপুর ও মোহরকয়ার আংশিক সহ প্রায় ১৮টি চর এলাকা পানিতে প্লাবিত হওয়ায়। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বিঘা ফসলি জমি পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মতামত, বিলমাড়ীয়া ফতেপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বাবলু ও মুনজেল আলী জানান, তাদের মুলা ও বেগুনের আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া আরাজি বাকনাই চরের কৃষক আলাল আলী বলেন মুলা, গাজর, বেগুন সহ সাড়ে ৪ বিঘা জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। ইলশামারী চরের খামারী আরিফ মন্ডল জানান, গরু মহিষ নিয়ে চরম দুর্ভোগে আছি কোথাও কোন ঘাষ নেই সব তলিয়ে গেছে।
বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য লাল মোহম্মদ জানান, গত দুদিন আকস্মিক পানি বৃদ্ধিতে আমার ওয়ার্ডের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ফসলি ক্ষেত। নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়বে। এবিষয়ে নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, আগামী পাঁচ থেকে সাত দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, নদীর পানি কমে গেলে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষি অফিস সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।