রানা আহমেদ, নীলফামারী : নীলফামারীতে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়েও জেলা বিএনপির ছাঁয়াতলে এসে দূর্নীতিবাজ শিক্ষক আনিছুর রহমানকে কুকড়াডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করার পায়তারার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর/২৪) দুপুরে সদর উপজেলার কুকড়াডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অবিভাবকেরা। তিনি সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।
তারা বলেন, আনিছুর রহমান সাবেক প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে বহু অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলো। তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান করার নেপথ্যে ইউনিয়ন ও জেলা বিএনপির কিছু নেতা জড়িত।
সহকারী শিক্ষক আব্বাস আলী বলেন, গত ১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রধান শিক্ষক মহির উদ্দিন অবসরে যান। পরে প্রধান শিক্ষকের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অর্পন বিষয়ক সভা করেন তৎকালীন সভাপতি খতিব উদ্দিন। সভাপতি আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ বহু অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ায় ও সকল সহকারী শিক্ষকের মতামতে দ্বায়িত্বভার দেন মাহাবুবুর রহমানকে। তিনি দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হয়েছে। আমরা সকল শিক্ষক মাহাবুবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাই। তা নাহলে প্রতিষ্ঠানের বেহাল দশা হবে।
সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, তিনি আমাদের শিক্ষকদের কাছ থেকে মন্ত্রণালয়ের অডিটের কথা বলে প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে বেতনের এক মাসের টাকা নিয়েছেন সেই সময়। তিনি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির কথা বলে টাকা নিয়ে আত্নসাত করেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের এ দাবীতে একমত পোষণ করছি। আমরা ইউএনও মহোদয়ের কাছেও অভিযোগ দিয়েছিলাম কিন্তু তিনি আমাদের কোন কথা না শুনে দূর্নীতিবাজ আনিছুর রহমানকে দ্বায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাকে দ্বায়িত্ব দিলে প্রতিষ্ঠানের পাঠদানে বিঘ্ন ঘটবে।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা মাহবুবুর রহমান স্যারকে চাই মর্মে মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নিলে দূর্নীতিবাজ আনিছুর স্যার আমাদের রাস্তায় চকলেট-বিস্কুট খাওয়ায় বলেন আজ স্কুল বন্ধ। তোমাদের স্কুলে যেতে হবেনা। অথচ স্কুল বন্ধ ছিলোনা।আবার স্থানীয় গ্রাম পুলিশ দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অবিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মানা করেন। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হলে আমরা স্কুলে আসবো না। সেইসাথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারী দেন শিক্ষার্থীসহ অবিভাবকেরা।
আরও খবর...