ঝিনাইদাহে নারী প্রতারকের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হওয়ার পথে আব্দুল মান্নান(৬০) নামে একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের আংশিক বলিদাপাড়া গ্রামের মৃত মমরেজ আলী বিশ্বাসের ছেলে। বর্তমানে তিনি কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদে এ,ও হিসেবে কর্মরত আছেন। আক্রান্ত আব্দুল মান্নান বলেন, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সি এ থাকা অবস্থায় সদর থানার গয়েশপুরের সেলিনা পারভিন(৫০) সাথে বন্ধুর স্ত্রীর সুবাদে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে পারিবারিক ভাবে সক্ষতা গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের কারণে সে আমার বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো।
ঝিনাইদহ সদর থানার ১২৬ নং গয়েশপুর মৌজার থেকে সাত শতক জমি রেজিস্ট্রি করিয়া দিবে বলে ছাপ্পান্ন লক্ষ টাকা নেয়। এরপর সে মনে মনে জমি না দেওয়ার দূরভীসন্ধি আঁটে এবং কম্পিউটারে ফটোশপের মাধ্যমে আমার এবং তার (সেলিনা পারভিনের) অশ্লীল ছবি তৈরি করে এবং আমার বাড়িতে সাংবাদিক পাঠিয়ে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিয়ে মান-সম্মানের ভয় দেখিয়ে চার লক্ষ নব্বই হাজার টাকা নেয়।পরবর্তীতে আবার আমার নামে ডিসি অফিসে, ইউএনও অফিসে অভিযোগ করে চাকরি যাওয়ার ভয় দেখিয়ে ছয় লক্ষ দশ হাজার টাকা নেয়।সে এ যাবত সর্বমোট সাতষট্টি লক্ষ টাকা আমার কাছ থেকে নিয়েছে।
কষ্টার্জিত এই সকল অর্থ হারিয়ে এখন আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। নারী প্রতারকের এই খপ্পর থেকে বাঁচতে এবং লুটকৃত সমুদয় অর্থ পুনরুদ্ধারে প্রশাসনসহ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।