নলছিটি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তৌহিদুল আলম মান্নার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা। রবিবার বেলা ১২টায় নলছিটি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তৌহিদুল আলম মান্না। এ সময় নলছিটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান খান হেলালসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে তৌহিদুল আলম মান্না জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে নলছিটিতে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সপৃক্ত। এর আগে উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। দলের সুনাম ক্ষুন্ন হোক এমন কোন কাজ আমার অথবা আমার পরিবারের ধারা কখোনো হয়নি। বরং দলের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং সুষ্ঠ ধারার রাজনীতি করার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে আসছি। আমি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে অসংখ্য মামলার আসামি হয়ে জেল খেটেছি। বহুবার হামলার শিকার হয়েছি। আওয়ামী দুঃশাসনামলে নির্যাতন সহ্য করেও দল ছেড়ে কখোনো যাইনি। আমি দলকে সূসংগঠিত করার জন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ব করতে কাজ করে যাচ্ছি। ২০২২ সালে আমাকে নলছিটি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক করা হয়। নতুন এ দায়িত্ব পেয়ে আমি সংগঠনকে গতিশীল করতে সক্ষম হয়েছি। ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আমি নলছিটির সকল সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে দলের সুনাম বজায় রাখার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। রাত জেগে হিন্দু ভাইদের মন্দির ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পাহারা দিয়েছি। যেখানেই দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে সেখানে গিয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। দলের ভিতরে এবং বাহিরে এসব কর্মকান্ডে যখন স্বেচ্ছাসেবক দলের সুনাম বেড়েই চলছে তখন একটি দুস্কৃতকারী চক্র আমাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমি কখোনো অন্যায়ের সাথে আপষ করিনি। এতে ঈর্ষান্নিত হয়ে দলের ভিতরে ও বাহিরের একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। সম্প্রতি কয়েকটি ফেইক আইডি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক দল ও আমার সদস্যসচিব সাইদুল কবির রানা সহ সহকর্মীদের নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালাচ্ছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে আমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছি। তৌহিদুল আলম মান্না বলেন, আপনারা জানেন আমার জীবদ্দশায় কখনো অন্যায়ের সাথে আপশ করিনি। অথচ গত ৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক ভোরের পাতার শেষের পাতায় ‘নলছিটিতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার জমি দখল ও বেপরোয়া চাঁদাবাজী’ শিরোনামে আমার অনুমতি ব্যতিত ছবি ব্যবহার করে একটি মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করেছে। ওই সংবাদে আমার কেনো বক্তব্য নেওয়া হয়নি। সংবাদে বলা হয়েছে আমার শ্যালক জমি দখল করেছে এবং আমার ভাই উন্নয়নমূলক কাজের মালামাল লুট করেছে। এ ধরণের কোন ঘটনাই নলছিটিতে ঘটেনি। সম্পূর্ন আমাকে হেয় করার জন্য ওই সংবাদটি করানো হয়েছে। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে ষাইটপাকিয়ায় যাত্রী ছাউনী দখল করে স্বেচ্ছাসেবক দলের অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ন মিথ্য ও বানোয়াট। এ ঘটনা সেনাবাহিনী, উপজেলা নির্বাহি কর্মকতা ও পুলিশ গিয়ে তদন্ত করেছে। তারা স্বেচ্ছাসেবক দলের কোন সম্পৃক্ততা সেখানে পায়নি। জমির মালিক নিজেই এটা ভেঙ্গেছে এবং তিনিই আবার তা সংস্কার করে দিয়েছে। অতএব কোন কিছু না যেনে, অনুসন্ধান ও বিশ্লেষন না করেই আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করেছে। আমি দলের পক্ষে এসব ভুয়া সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ যেকোন সংবাদ করার আগে সঠিক তথ্য তুলে আনা প্রয়োজন। নির্দোষ কাউকে অন্যায়ভাবে লিখনির মাধ্যমে কষ্ট না দেওয়ার অনুরোধ করছি। আমরা এ মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছি। এ ব্যপারে আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে নলছিটি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার অহিদুল ইসলাম বাদল, বর্তমান উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি এনায়েত করিম মিশু, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সরোয়ার হোসেন তালুকদার, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল কবির মিঠু ও রেজওয়ানুল হক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব সাইদুল কবির রানা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজ দেওয়ান, কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাবু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান সবুজ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিরাজ তালুকদার ও রাসেল হাওলাদার, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বশির হাওলাদার, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সুজন খান, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রনি তালুকদার, সদস্যসচিব সাব্বির আহম্মেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল আহম্মেদ, কলেজ ছাত্রদল আহ্বায়ক রাকিব গাজী, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শামীম মল্লিক, উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেনসহ দশ ইউনিয়নের ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিকদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।