দৌলতপুরে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণের আসামি এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে
সর্বশেষ পরিমার্জন:
রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪
৬১
বার পঠিত
»»»»» »»»»»
মোঃ রিপন হোসেন : খুলনা জেলার দৌলতপুর থানাধীন হাসানখান রোড, পালপাড়া কোপার বিল এলাকায় সবুজ খাঁ (৩৭), পিতা- মৃত কেরামত আলী, গ্রাম- হাসানখান রোড, পালপাড়া কোপার বিল কর্তৃক গত ৭/৭/২০২৪ ইং রোজ রবিবার দুপুর আনুমানিক ৩:৩০ ঘটিকার সময় ৭ বছরের একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ৮/৭/২০২৪ ইং তারিখ শিশুটির মা বাদি হয়ে “৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০(সংশোধিত ২০২০); তৎসহ ৫০৬ শিশু ধর্ষণ করতঃ ভয়ভীতি প্রদর্শণ” আইনে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং- ০৬, তারিখ- ৮/৭/২০২৪ ইং। ৯/৭/২০২৪ ইং তারিখে ভিকটিম কোর্টে স্ব-শরিরে উপস্থিত হয়ে বিকাল ৪ ঘটিকার সময় ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট তার জবানবন্দি প্রদান করে। এবং একই দিন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ডাক্তারী পরিক্ষা সম্পন্ন হয়।
জানা যায়, ৭/৭/২০২৪ ইং তারিখ রবিবার দুপুর ৩:৩০ ঘটিকার সময় শিশুটি রাস্তায় হাটছিল, তখনি কু-নজরে পরে যায় প্রতিবেশি ধর্ষক সবুজের এবং সবুজ শিশুটিকে ইশারায় কাছে যেতে বললে শিশুটিও ইশারায় যাবেনা বলে জানায়। কিন্তু সবুজ শিশুটিকে তার ইচ্ছার বিরূদ্ধে টেনে ঘরের ভেতরে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষনের জন্য প্রলুদ্ধ, উত্তেজিত ও লোভ দেখাতে থাকে। শিশুটির বক্তব্য ও ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট দেওয়া তথ্য মতে ঠিক যে মূহুর্তে শিশুটিকে ধর্ষন করতে যাবে তখনই শিশুটির মা দরজায় এসে ধাক্কা মারে এবং শিশুটিকে ডাকতে থাকে। কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে সবুজ দরজা খুলে দেয় এবং শিশুটির মা ঘরে ঢুকে তাদের দুইজনকেই সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অস্থায় দেখতে পায়। শিশুটির মা জানান মেয়েকে অনেক্ষণ দেখতে না পেয়ে তিনি খুজতে বের হন এবং আসেপাশে না পাওয়ায় প্রতিবেশি আর একটি শিশুর কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন সবুজ তার মেয়েকে ঘরে নিয়ে গেছে। তাৎক্ষনাত তিনি সবুজের ঘরে যান এবং দড়জা বন্ধ দেখে ধাক্কা দিতে থাকেন ও মেয়েকে ডাকতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে সবুজ দরজা খুলে দেয় তখন তিনি ভিতরে প্রবেশ করেন ও মেয়েকে ঘরের ভেতর সোফায় বসে থাকতে দেখেন। সবুজের কাছে দরজা বন্ধের কারন জানতে চাইলে তখন তার মেয়ে তাকে ধর্ষণের সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলে এবং তিনি মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। শিশুটি শশি ভূষন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ২য় শ্রেণীর ছাত্রী।
অভিযুক্ত সবুজের বাড়ি গেলে তাকে বা তার বৌকে বাড়ি পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরথেকে সে পলাতক বলে জানা যায়। তবে সবুজের ছোট ভাইয়ের বৌ এর তথ্য মতে “ আমি শুনেছি যে, শিশুটির মা শিশুটিকে খোজা খুজি করছে এবং সবুজের ঘর থেকে তাকে বের করে নিয়ে গেছে। যখন নিয়ে গেলো তখনতো আমাদের কিছু বললোনা, পরে এসে জানালো যে তোমার ভাসুর আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, আমি তখন বললাম তার বৌ তো বাড়িতে নাই আসুক আসলে তাকে বলো।” তিনি এটাও বলেন শিশুটি ও শিশুটির আরো দুই বোন প্রায়ই তাদের বাড়িতে যাতায়াত করত। সবুজের বড় ভাবি বলেন “আমি তো সবুজের ঘরে বসে রান্না করছিলাম। আনুমানিক ৩:৩০ মিনিটের দিকে কলে গোসল করতে যাই আর সেই সময়ই সবুজ ও গোসল করে ঘরের দিকে আসে। আমার গোসল করে আসতে যতটুকু সময় এসে শুনি এই কান্ড।”
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন “এখনো আসামিকে আমরা ধরতে পারিনি, তবে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। ধর্ষক গ্রেফতার হলে আপনাদের জানানো হবে”।