1. news.rifan@gmail.com : admin :
  2. arroy2103777@gmail.com : Amrito Roy : Amrito Roy
  3. mdmohaiminul77@gmail.com : Md Mohaiminul : Md Mohaiminul
  4. holysiamsrabon@gmail.com : Siam Srabon : Siam Srabon
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ নাসির ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই করল বাংলা‌দেশ-কাজাখস্তান বিদেশি পর্যবেক্ষক না আসলেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: তথ্যমন্ত্রী কথা পরিষ্কার, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয়: ফখরুল যুদ্ধ-সংঘাত পরিহার করে মানবকল্যাণে কাজ করুন আমি নাকি ফিতা কাটা নায়িকা: অপু ম্যাচের আগেরদিন টাইগার স্কোয়াডে পরিবর্তন লক্ষ্মীপুরে খালেদা জিয়ার রোগমু‌ক্তির দোয়া হয়ে গেল সে‌ল‌ফি অনুষ্ঠান খুলনা জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ যুব ঐক্য শাখার কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  আগামির সুন্দর বাংলাদেশ এই শিশুদের মধ্যে থেকে বিকশিত হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম




দুই নারীর এক স্বামী, কে কতদিন স্বামীকে কাছে পাবেন করলেন ভাগাভাগি

  • সর্বশেষ পরিমার্জন: বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩
  • ১৬৩ বার পঠিত

দুই নারীকে বিয়ে করেছেন এক ব্যক্তি। দ্বিতীয় বিয়েতে সায় ছিল না প্রথম স্ত্রীর। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে মারামারিও হয় তার। কিন্তু এক পর্যায়ে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিয়ে অভিনব চুক্তি করেন স্ত্রী। পরে পৃথক বাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। শুধু তাই নয়, স্বামী কোন স্ত্রীর কাছে কত দিন থাকবেনও তাও সমঝোতার মাধ্যমে ভাগাভাগি করে নিয়েছে স্ত্রীরা।

ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র শহরে ঘটেছে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, সমঝোতার ভিত্তিতে এক স্বামীর সঙ্গে ঘর-সংসার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুই স্ত্রী। সপ্তাহের সাতদিনের মধ্যে দু’জনের বাড়িতে তিন দিন করে স্বামী থাকবেন বলেও সমঝোতা করেছেন স্ত্রীরা। আর সপ্তাহের বাকি যে একদিন আছে, স্বামী ইচ্ছা অনুযায়ী সেদিনটি দুই স্ত্রীর যে কারও কাছে থাকার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

গোয়ালিয়র শহরের পারিবারিক আদালতের একজন আইনজীবী অভিনব বিয়ের এসব তথ্য জানিয়েছেন। তবে গোয়ালিয়রের কাউন্সিলর ও আইনজীবী হরিশ দিওয়ান হিন্দু আইন অনুযায়ী ওই দম্পতির বিয়ের চুক্তিকে অবৈধ বলে অভিহিত করেছেন।

হরিশ দিওয়ান বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন গোয়ালিয়রের এক প্রকৌশলী তার প্রথম স্ত্রীকে রেখে গুরুগ্রামের একজন নারী সহকর্মীর সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। তারপরই দুই নারী ও একজন পুরুষের বিয়ের এই ঘটনা সামনে আসে।

তিনি বলেন, পেশায় প্রকৌশলী ওই ব্যক্তি গোয়ালিয়রের এক নারীকে প্রথম বিয়ে করেছিলেন ২০১৮ সালে। দুই বছর ঘর-সংসার করেন তারা। পরে স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে গুরুগ্রামে ফেরেন ওই ব্যক্তি।

আইনজীবী হরিশ দিওয়ান বলেন, বাবার বাড়ি থেকে তাকে নেওয়ার জন্য ২০২০ সাল পর্যন্ত না আসায় স্বামীকে নিয়ে সন্দেহ দানা বাধে স্ত্রীর। পরে গুরুগ্রামে স্বামীর অফিসে যান তিনি। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, অফিসের এক সহকর্মীকে ফের বিয়ে করেছেন তার স্বামী। বিয়ের পর স্বামীর নতুন সংসারে এক মেয়ে সন্তানেরও জন্ম হয়েছে।

তিনি বলেন, এই ঘটনা জানার পর ওই নারী জনসম্মুখে স্বামীর সাথে মারামারি করেন এবং তার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে অফিসে প্রতিবাদ জানান। এরপর তিনি বিচারের জন্য গোয়ালিয়রের একটি পারিবারিক আদালতে যান।

হরিশ দিওয়ান বলেন, পরবর্তীতে গোয়ালিয়রের আদালত ওই ব্যক্তিকে তলব করে। পরামর্শ দেওয়া হলেও দ্বিতীয় স্ত্রীকে ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন তিনি। ওই ব্যক্তির দ্বিতীয় ও প্রথম স্ত্রীকে পরামর্শ দেওয়া হলেও তারা তা মানতে নারাজ।

পরিস্থিতির এক পর্যায়ে তিনজনই একটি চুক্তিতে পৌঁছায়। চুক্তি অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি সপ্তাহের সাতদিনের মধ্যে তিন দিন একজনের সঙ্গে এবং বাকি তিন দিন অপরজনের সঙ্গে কাটাবেন। আর মাঝের একদিন অর্থাৎ রোববার স্বামী তার ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনও একজন স্ত্রীর সঙ্গে কাটাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।

আইনজীবী হরিশ দিওয়ান বলেন, ওই ব্যক্তি তার প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে গুরুগ্রামের ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় দুটি ফ্লাট কিনে দিয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী, স্বামীর বেতন সমানভাবে ভাগ করে নিতে রাজি হন তারা।

এই চুক্তির কোনও আইনি বৈধতা আছে কি না জানতে চাইলে হরিশ দিওয়ান বলেন, তাদের তিনজনের পারস্পরিক সম্মতিতে চুক্তিটি হয়েছে। এতে পারিবারিক আদালত বা কাউন্সিলরের কোনও ভূমিকা নেই।

তিনি বলেন, তিনজনকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল, তারা হিন্দু এবং হিন্দু আইন অনুযায়ী তাদের এই চুক্তিটি অবৈধ। হিন্দু বিবাহ আইনে বলা আছে, একজন হিন্দু পুরুষ তার প্রথম স্ত্রীকে বৈধ উপায়ে তালাক না দেওয়া পর্যন্ত অন্য কোনও নারীকে বিয়ে করতে পারবেন না। তারা এই আইন উপেক্ষা করে চুক্তি অনুযায়ী ঘর-সংসার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর...