তিতাসে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের উত্থাপিত অভিযোগের তদন্তে গবেষক
সর্বশেষ পরিমার্জন:
বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩
১০৫
বার পঠিত
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা পারভীন ভানুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অসদাচরণ এর অভিযোগ করেন উপজেলার সকল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ।
শিক্ষকদের উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে শিক্ষকদের লিখিতভাবে গণ শুনানি নেন তদন্তে আসা গবেষণা কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া। এর আগে তিনি উপস্থিত অভিযোগকারী শিক্ষকদের সপথ বাক্য পাঠ করান সত্য বলার জন্য। এতে ৭৯ জন শিক্ষিক-শিক্ষিকা লিখিত শুনানি পেশ করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া বলেন, আমি তদন্তে এসে অভিযোগকারী শিক্ষকদের লিখিত বক্তব্য নিয়েছি, আমরা অভিযোগ গুলো যাচাই-বাছাই করে আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানাবো। পরে ওনারা সিদ্ধান্ত দিবেন।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা পারভীন ভানু বলেন, আমি আসার আগে শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে থাকতেন না এবং বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ গুলোও সঠিকভাবে করতেন না। আমি তিতাসে যোগদানের পর থেকে এসব বিষয়ে কোনো প্রকার সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে শিক্ষক নেতারা মিথ্যাচার করছে।
এর পূর্বে শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা পারভীন ভানুর অপসারণের দাবিতে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত প্রায় ৪০০জন শিক্ষক-শিক্ষিকা উপজেলা কার্যালয়ের প্রবেশ পথে মানববন্ধন করেন।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জিয়ারকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, বাতাকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আক্তার হোসেন, গাজীপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবুর রহমান, উলুকাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেন, মধ্য বন্দরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লুবনা মরিয়ম জামান। বক্তব্যকালে বক্তারা বলেন, তাদের ২০ থেকে ২৫ বছরের শিক্ষকতার জীবনে এধরণের বদমেজাজি শিক্ষা অফিসার কখনো পায়নি। শিক্ষা অফিসার লায়লা পারভীন বানু শিক্ষার্থীদের সামনেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে অসদাচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে থাকেন। এই অফিসার এখানে থাকলে শিক্ষার মান দিন দিন ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। কারণ এই অসদাচরণের কারনে শিক্ষকদের মন মরা হয়ে থাকতে হবে। সুতরাং শিক্ষকরাই যদি ভালো থাকতে না পারে তাহলে শিক্ষার্থীদের কি ভাবে ভালো রাখবে আর ভালো পড়াবে। পড়াশোনার মানোন্নয়ন করতে হলে দ্রুত তাহাকে অপসারণ করতে হবে বলে শিক্ষকরা দাবী জানান।
Leave a Reply