মোঃ জুয়েল রানা, তিতাস প্রতিনিধি: কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় দুই বংশের দফায় দফায় সংঘর্ষে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে আসছে। তারই জের ধরে রবিবার ভোরে উপজেলার দক্ষিণ বলরামপুর ভুইয়া বাড়ির সৌদি প্রবাসী শেখ সাবের সীমানা প্রাচীর ও একটি দোচালা ঘর ভাংচুর করে তাদের বিল্ডিংএ ঢুকে নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলংকারসহ সীমানা প্রাচীরের ইট খুলে নিয়ে গেছে সরকার বাড়ির আউয়াল গংদের লোকজন।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ বলরামপুর গ্রামে থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ওই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, সরকার বাড়ি ও ভুইয়া বাড়ির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি জায়গা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এক মাস ধরে তিন দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অত্যন্ত ১০ জন আহত হয় এবং উভয় পক্ষের মামলা চলমান রয়েছে।
ভুইয়া বাড়ির সৌদি প্রবাসী শেখ সাবের স্ত্রী ফজিলতের নেছা বলেন, সরকার বাড়ির আউয়াল গংদের সাথে আমাদের এক মাস ধরে মারামারি ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। তারই জের ধরে আজ ভোরে সরকার বাড়ির ৫০/৬০ জন লোক লোহার রড, হাতুরি, লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে আমাদের বাড়ির দেয়াল ভেঙ্গে ইট গুলো নিয়ে গেছে ও একটি দোচালা টিনের ঘর ভেঙ্গে ঘরে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্রসহ আমাদের বিল্ডিং এ ডুকে শোকেস ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলংকার নিয়ে গেছে। আমি এঘটনার বিচার চাই।
সরকার বাড়ির সৌদি প্রবাসী শেখ ফরিদ এর স্ত্রী শাহিনা বেগম বলেন, শেখ সাব মসজিদের জায়গা দখল করে দেয়াল দিয়েছে, আজ সকালে সমাজের লোকজন গিয়ে দেয়াল ভেঙে ফেলে। এখানে আমাদের কোনো দোষ নেই।
এদিকে ঘটনার সত্যতা জানতে মসজিদ কমিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম ও সমাজের কয়েকজন বলেন, মসজিদের জায়গা নিয়ে মামলা চলছে, কিন্ত আজ যারা শেখ সাবের দেয়াল ভেঙেছে এটা তাদের ব্যাক্তিগত এবং দুই বংশের মারামারির জের।
তিতাস থানার ওসি সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, দক্ষিণ বলরামপুর গ্রামে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে, কিন্ত আজ জারা সংঘবদ্ধ হয়ে বাড়ির সীমানা প্রাচীর ও ঘর-বাড়ি ভাংচুর করেছে শুনে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত আছে এবং লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।