অনলাইন ডেস্ক: চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার বিষয়ে ১৮ ও ১৯ জুলাই জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের বিবৃতির বিষয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের এই দুটো বিবৃতি অত্যন্ত অল্প তথ্যের ভিত্তিতে, সংশয় সৃষ্টির উদাহরণ মাত্র। আমরা এটাও বিশ্বাস করি, জাতিসংঘ যদি আরও নিরপেক্ষভাবে তথ্যানুসন্ধান করতে থাকেন, পুরো চিত্রটা যদি তাঁদের কাছে পরিষ্কার হয়, তখন তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের হোতা কারা সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাবেন।’
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন নাঈমুল ইসলাম খান। ১৮ ও ১৯ জুলাই জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান ভল্কার তুর্ক বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা নিয়ে বিবৃতি দেন।
নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বর্তমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে সংশয় প্রকাশ করেছেন, সে বিষয়টি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা গত ১৯ ও ২৫ জুলাই দুটো বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে তাঁরা সুনির্দিষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলেন নাই, তাঁদের শঙ্কার কথা বলেছেন। কিন্তু পুরো ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করছেন সেখানে তাঁরা কারিগরি সহযোগিতা দিতে আগ্রহী। আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে সেই অফার গ্রহণ করেছেন। বলেছেন, জাতিসংঘের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিচার বিভাগীয় কাজে তদন্ত করার জন্য, জাতিসংঘ বা অন্য কোনো দেশ থেকেও সরকার কারিগরি সহায়তা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
n/v