1. smborhan.elite@gmail.com : Borhan Uddin : Borhan Uddin
  2. arroy2103777@gmail.com : Amrito Roy : Amrito Roy
  3. news.rifan@gmail.com : admin :
  4. holysiamsrabon@gmail.com : Siam Srabon : Siam Srabon
  5. mdr028999@gmail.com : Rayhan : Md Rayhan
 ঢাকা থেকে  ভাইকে আনতে গিয়ে গুলিতে চিকিৎসক সজিবের মৃত্যু - The NAGORIK VABNA
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা
সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি/সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা শীঘ্রই নির্দেশনাবলী পড়ে আবেদন করুন অথবা 09602111973 বা 01915-708187 নাম্বারে যোগাযোগ করুন...
আজকের শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পূজা মন্ডপে হামলার ঘটনায় যুবক আটক মহেশপুরে স্বামীর মৃত্যু দেখে স্ত্রীও মারা গেলেন কিশোরগঞ্জে বিএনপির অফিস ভাঙচুরের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার পিরোজপুরে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় নারী-শিশুসহ দুই পরিবারের নিহত-৮ রূপগঞ্জে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা দুলাল হোসেন  দেবীর নবপত্রিকা স্থাপন সম্পাদনে  আজ মহাসপ্তমী!  রাজশাহীর বাঘায় মা দূর্গার প্রতিমা স্থাপন হিমাগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপুজো উপলমক্ষে আগাম পরিদর্শন ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন অধ্যাপক আমিনুল  ইসলাম  কুষ্টিয়ায় কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনে পরিবারের বাধা কুষ্টিয়ায় কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনে পরিবারের বাধা

 ঢাকা থেকে  ভাইকে আনতে গিয়ে গুলিতে চিকিৎসক সজিবের মৃত্যু

  • সর্বশেষ পরিমার্জন: রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪
  • ৫২ বার পঠিত

»»»»» »»»»»

অরবিন্দ রায় : কোটাসংস্কার আন্দোলন চলাকালে মাদরাসা পড়ুয়া ভাইকে আনতে গিয়ে ঢাকার আজমপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে  নিহত হন রায়পুরার বাসিন্দা চিকিৎসক সজিব সরকার(৩০)। ওইদিন রাতেই উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে স্বজনরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরদিন তাঁর মরদেহ নিজ এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনার সপ্তাহ পেরোলেও থামেনি স্বজনদের শোক-আহাজারি। উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন সজিবের মৃত্যুতে এখন অথৈ সাগরে ভাসছে পুরো পরিবার। গত ১৯ জুলাই নিহত হন চিকিৎসক সজিব সরকার।

নিহত সজিব নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মেঝেরকান্দি গ্রামের মো. হালিম সরকারের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণ্যবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের প্রভাষক  ছিলেন। বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতেন।  তিন ভাই এক বোনের মাঝে তিনি  সবার বড় ছিলেন।  রোববার নরসিংদীর ভেলানগরে ভাড়া বাসায় পরিবারটি বসবাস  করে । বাসায় গিয়ে দেখা যায়, ছেলেকে হারিয়ে মা ঝর্ণা বেগম(৫৬) অসুস্থ হয়ে অক্সিজেন নিচ্ছে। ছেলের স্মৃতিচারণ করে বিলাপ করে মুরছা যাচ্ছেন। অশ্রুশিক্ত নয়নে পানি ঝরছে।  দীর্ঘদিন যাবত তিনি  অসুস্থ। সজিব সবসময় আমাকে ছোট্ট সন্তানের মত আগলে রাখতো। আমিসহ সকলের খরচ যোগাতো। ওই দিন ১১ টায় বাসা থেকে ছোট ছেলেকে আনতে বের হন। বেলা সাড়ে ৪ থেকে ৫ টার মধ্যে আজমপুর পৌঁছে ফোনে কথা হয়। রাত ১ টা পর্যন্ত ছেলের অপেক্ষায় বসে ছিলাম। আমাদের যা ছিলো সব ছেলেকে ডাক্তার বানাতে ব্যয় হয়েছে। সব হারিয়ে এখন  আমাদের পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।  আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই । সবাই যাতে জানে সজিব ডাক্তার নির্দোষ হয়ে মারা গেছে। সজিব যেনো আজিবন সবার মাঝে বেঁচে থাকে এমন কিছু একটা নামকরণ করা হউক।’বোন শিক্ষার্থী সুমাইয়া সরকার বলেন, গত ১৯ জুলাই দুপুরে ঢাকার উত্তরার রাজলক্ষ্মী দারুলউলুম মাদরাসায় পড়ুয়া ছোট ভাই আব্দুল্লাহকে আনতে নরসিংদীর বাসা থেকে বের হন। তুমুল আন্দোলনের সময় আজিমপুরে বাস থামে। বিকেল ৫-৬ টার মধ্যে আজমপুর বাস থেকে নেমে রাজলক্ষ্মী যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাস্তার পাশ ধরে হাঁটতে থাকে। এ সময় পুলিশের ছুঁড়া গুলিতে নিহত হন। সন্ধ্যা ৭ টায় ভাইয়ের বন্ধুর মাধ্যমে খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে আসি।  বিকেলে আজমপুরের রাস্তা থেকে কয়েকজন লোক গুলিবিদ্ধ ভাইকে হাসপাতালে আনে। পুলিশের ছুঁড়া গুলিতে নিহত হন। কি করে চলবে আমাদের সংসার? নিহতের ভাই আব্দুল্লাহ বলেন,  আগের সপ্তাহে ভাই মাদরাসায় আসে । ওই সময় তার সাথে সর্বশেষ দেখা হয়।  বৃহস্পতিবার মাদরাসা ছুটি হলে  ভাই এসে আমাকে নিয়ে যাবে। ওই দিন বিকেলে তিন বার ভাইকে ফোন দিয়ে না পেয়ে ব্যাগ নিয়ে ভাইয়ের অপেক্ষায় বসে থাকি। রাত নয়টায় হাসপাতালে এসে ভাইয়ের লাশ দেখতে পাই। রাতেই উত্তরার একটি মসজিদে গোসল করাতে গিয়ে দেখি ভাইয়ের বুকের সামনে দিয়ে গুলির বড় গর্ত হয়ে পিছন দিখ দিয়ে বের হয়েছে। দুই তিনটা রাইফেলের ক্ষত নীল জমাটবদ্ধ রক্ত। ভাইয়ের উপার্জনে ভাই বোনের পড়াশোনা, মায়ের অসুস্থতা পরিবারের খরচ চলতো।

চিকিৎসকের বাবা মো. হালিম সরকার(৫৮) বলেন, ছেলেকে খুব কষ্ট করে ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত পড়াশোনা করাই। গত ২০২০ সালে টঙ্গীর বেসরকারি তাইরুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাশ করেন । তাকে চিকিৎসক বানাতে গিয়ে দিতে হয়েছে সর্বত্র, ঋণে জর্জরিত। তার উপার্জনে অসুস্থ মা’র চিকিৎসা, ভাই বোনের পড়াশোনা ও সংসার চলতো দেয়া হতো ঋণ।
তিনি আরো বলেন,  আমি আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমার ছেলে খুব ধার্মিক ছিলেন।স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, সজিব ডাক্তার হয়ে সময় পেলেই এলাকায় এসে বিনামূল্যে মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরও খবর...

আপনি কি লেখা পাঠাতে চান?