রানা আহমেদ, নীলফামারী : নীলফামারী জেলার ডোমারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) খামারে ৩শ’ একর পতিত জমিতে আউশ (ব্রি ধান-৯৮) ধান বীজ উৎপাদনে সারা জাগিয়েছে।
খামার সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৮ সালে ৫১৫ একর জমির ওপর বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসির আওতায় ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে খামারে উন্নত মানের আলু বীজ ও আলু উৎপাদন করা হচ্ছে। আলু বীজ ও আলু উত্তোলনের পর জমিগুলো পতিত অবস্থায় পড়ে থাকতো।
বর্তমান খামার উপ-পরিচালক কৃষি বীদ মো. আবু তালেব মিঞা জানান, প্রথমত ২০২০-২১ আউশ ধান উৎপাদন মৌসুমে একেবারে পতিত পড়ে থাকা ১৮৭ একর জমিতে পরবর্তীতে ২০২১-২২ উৎপাদন মৌসুমে ২৪০ একর ও ২০২২-২৩ উৎপাদন মৌসুমে (ব্রিধান-৯৮) জাতের ২৫৫ একর জমিতে আউশ ধান বীজ উৎপাদন কর্মসূচি হাতে নেয়।
বর্তমান চলতি আউশ উৎপাদন মৌসুমে ৩শ’ একর (ব্রিধান-৯৮) জাতের ধান বীজ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ উৎপাদন কর্মসূচিতে ৩৯০ মেট্রিক টন ধান বীজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশে আগামী মৌসুমে ৩৯ হাজার একর জমি আউশ ধান চাষের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
যা থেকে জাতীয় পর্যায়ে প্রায় ৬৫ হাজার মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদনে যোগ হবে বলে তিনি জানান।তিনি আরও জানান, আউশ ধানের উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে এপ্রিল মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে চারা রোপণের পর থেকে মাত্র ৮০ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ করা যায়। অর্থ্যাৎ ধান থেকে ধান উৎপাদনের মোট সময় লাগে ১০৩ থেকে ১০৫ দিন।
বর্তমানে কৃষক পর্যায়ে রবি মৌসুমে অন্যতম লাভজনক শস্য ভুট্টা। ভুট্টা চাষের পরে আমন রোপণের পূর্ব পর্যন্ত জমি পতিত পড়ে থাকে। যা আউশ ধান আবাদের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। এসময় জমি পতিত না রেখে মাত্র ৮০ দিনের ব্যবধানে আউশ (ব্রিধান-৯৮) এর চাষ করে প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ১৭ মণ ধান উৎপাদনের পরে স্বল্প মেয়াদে আমন ধানসহ আলু উৎপাদনে সম্ভব।
ব্রিধান-৯৮ স্বল্প মেয়াদি হওয়ায় কৃষকরা খুব সহজেই একই জমিতে তাদের সুবিধা মতো এবং কাক্ষিত বিভিন্ন ফসল চাষ করে অধিক লাভবান হতে পারবে।
চলতি আউশ মৌসুমের উক্ত খামারের ৩শ’ একর জমির ধান উৎপাদন কার্যক্রম শতভাগ যান্ত্রিককরণের মাধ্যম বর্তমানে কম্পাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান বীজ ফসল সংগ্রহ করে দানা শস্য গ্রেডিং মেশিন দ্বারা ধানবীজ গ্রেডিং করে ধান সংরক্ষণ করা হচ্ছে।