আবু হাসান আপন, নবীনগর: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের জিনদপুর ইউনিয়নের পান্ডবনগরে কাদির পুলিশ গংরা নিজেদের ডোবা ও নাল শ্রেণি প্রকৃতির ব্যক্তিগত জায়গা মাঠি ফেলে ভরাট করে। পরে ঐসকল জায়গার চারদিকে গাছ লাগানো উদ্দেশ্যে ছোট ছোট পিলার ও নেট দেয়।কিন্তু পূর্বে নাল ও ডোবা থাকাবস্থায় ঐসকল জমির পাশ দিয়ে চলাচল করা বিপরীতে পাশের বাড়িরঘরের ৩০ টি পরিবারের লোকজনের চলাচলের অসুবিধা হওয়ায় তারা চলাচলের সুবিধার্থে ঐ নেট ও পিলার উঠিয়ে ফেলে।
এতে ঐ সকল জমির মালিক সুমন,রাসেল,তারেকগংরা অভিযোগ তুলেন তাদের জমির পাশ দিয়ে নয় বরং পাশ্ববর্তী আব্দুর রহমানের বসত বাড়ি ও তাদের সকলের মিলিত মালিকানা ডোবার শ্রেণি ভূমির পাশ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের রাস্তা থাকা সত্বেও ঐ সকল পরিবারের লোকজন হঠাৎ করে বর্তমান চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতিতে তাদের জমিতে দেয়া পিলার ও নেট উঠিয়ে ফেলে অনেক ক্ষয় ক্ষতি করেছে।
এবিষয়ে জমির মালিক পক্ষের কাদির পুলিশের ছেলে সুমন জানান,আমরা পৈত্রিক সুত্রে জায়গার মালিক অথচ আমাদের জায়গায় দেয়া পিলার নেট হঠাৎ তারা জোরপূর্বক উঠিয়ে ফেলেছে ,এতে আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পাশের বাড়ির লোকজনের চলাচলের রাস্তা আমাদের সকলের মিলিত ডোবা ও আব্দুর রহমান মিয়ার বাড়ির পাশে দিয়ে ।এই জায়গায় এতদিন ডোবা ছিল তা আমরা মাটি ফেলে ভরাট করেছি নিজেদের কাজে।তারা এখন জোর করে এদিক দিয়ে রাস্তা নিতে চাচ্ছে।
নেট ও পিলার উঠিয়ে ফেলার সময় উপস্থিত একাধিক প্রত্যক্ষোদর্শীরা জানান,রাস্তা পূর্ব দিকে এছাড়া এদের এই জায়গা জমি ও ডোবা থাকাবস্থায় মানুষ জমির আইল দিয়ে হেটে মাঝে মধ্যে চলাচল করত।এখন তারা তাদের প্রয়োজনে ভরাট করে নেট ও পিলার দিয়েছে, এগুলো উঠিয়ে ফেলা হয়েছে আমাদের চোখের সামনে।
নেট ও পিলার উঠিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠা বিপরীত পাশের ইউনুস মিয়ার বাড়ির একাধিক ব্যক্তি জানান,এদিক দিয়ে দুপাইয়া রাস্তা ছিল এখন সুমন,তারেক,রাসেলদের পয়সা হয়ে যাওয়ায় তারা তা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা গরীব অসহায় মানুষ এখন কোনদিক দিয়ে বাড়িতে আসাযাওয়া করব একথা চিন্তা করে তাদের দেয়া রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা চেয়ারম্যান ও মেম্বার খুলে দিয়ে আমাদের চলাচলের সুবিধা করে দিয়েছে।
এবিষয়ে জিনদপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল রবি জানান, বিষয়টি জনস্বার্থে আমাকে ঐ ওয়াড মেম্বার অবগত করায় আমি সরজমিনে গিয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের স্কুল,মুসল্লীদের নামাজের জন্য মসজিদ ও হাটাবাজারের পায়ে হেঁটে যাওয়ার মত নেট খুলে দিতে বললে তারা কেউ রাজি না হওয়ায় আমি আবাদত চলাচলের জন্য নেট খুলে দিয়েছি।পরবর্তীতে সবার সাথে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারি অনুদানে স্থায়ী রাস্তা নির্ধারণ করে দিব।এখানে আমার কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই সবই করেছি অসহায় পরিবারের কথা চিন্তা করে।
নাগরিক ভাবনা/এইচএসএস