মোজাম্মেল হক, চাটখিল (নোয়াখালী): সরকার পতনের পর গত (৫ আগস্ট) বিকেলে ছাত্র জনতার আনন্দ মিছিল- কারীরা চাটখিল থানায় হামলা চালিয়ে থানায় ভাংচুর, অস্ত্র, গোলাবারুদ সহ মালামাল লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এই ঘটনার পর অদ্যবধি চাটখিল থানা পুলিশ শূন্য, থানার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। থানা পাহারা দিচ্ছে আনসার ও সেনাবাহিনী সদস্যরা। (১২ আগস্ট) সোমবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান খান, দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফ উদ্দিন, চাটখিলে দায়িত্বে থাকা মেজর তানভীর হোসেন ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমদাদুল হক থানায় পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনকালে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান খান বলেন, আগামী দুই একদিনের মধ্যে থানার কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি আরো বলেন আগামী শুক্রবারের মধ্যে লুট হওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ জমা দিলে কারো বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য বলেন, লুট হওয়া অস্ত্র গুলো উদ্ধারের জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। হিন্দুদের মন্দির সহ কোন জায়গায় কোন ধরনের হামলার ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। আগুনে পুড়ে যাওয়া থানায় এখনও কাজ করা সম্ভব নয়, থানা মেরামত পর্যন্ত অস্থায়ী ভাবে (১১ নং পোলের উত্তর পাশে) উপজেলা মুক্তি যোদ্ধা কমপ্লেক্সে থানা পুলিশের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পরিদর্শনের সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও খবর...