অরবিন্দ রায় : গাজীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনা, যানবাহনে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ সহ ব্যাপক নাশকতা চালানো হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে কমপক্ষে ৬ টি প্রতিষ্ঠান ও স্হাপনায় হামলা চালানো হয়। ৩২ টির বেশি সরকারি গাড়ি পুড়ানো হয়। এতে ৫০ কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মো. সফিকুল ইসলাম নাশকতায় ক্ষয় ক্ষতির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৯ টি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। ১৩ টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। জিপ ৩ টি, পিকআপ ৫ টি, ড্রাম ট্রাক ১৮ টি, ১ টি ভেকু, মোবাইল কোর্টের গাড়ি ১ টি, বিদ্যুৎ বিভাগের গাড়ি ২ টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়।গাজীপুর সিটির জোন -১ ভবনের দরজা, জানালাও ভাংচুর করা হয়েছে। নাশকতাকারীরা গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সরকারি -বেসরকারি স্হাপনায় হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে।এ ছাড়াও চৌরাস্তা পুলিশ পুলিশ বক্সে ভাংচুর, কোনাবাড়ি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে নাশকতাকারীরা। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল- ৪ কার্যালয়ের সামনে সারিবদ্ধভাবে রাখা ২৫ টি গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। টঙ্গী ডেসকোর কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ৭ টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, ১০টি কম্পিউটার, ৭ টি প্রিন্টার, এসি সহ আসবার পএ ভাংচুর করা হয়েছে ।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিফুল ইসলাম বলেন, ৬ টি প্রতিষ্ঠান ও স্হাপনায় হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৫০ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকার ক্ষতি নিরুপন করা হয়েছে। তবে ক্ষয় ক্ষতি পরিমান আরও বাড়তে পারে।
বাংলাদেশের মধ্যে গাজীপুর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। দেশের যে কোন ক্রান্তি লগ্নে গাজীপুর আওয়ামী লীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অতীতে আওয়ামী লীগ তার সক্রিয়তার কারণে সারা দেশব্যাপী সমাদৃত হয়েছিল।
কোটা সংস্করন আন্দোলনে সময় গাজীপুরে আওয়ামী লীগের সক্রিয় ভূমিকায় থাকলে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান কিছু টা কম হতো বলে জানান মাঠ পর্যায়ে কয়েকজন কর্মীরা জানায় ।