বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো : যুগ যুগ ধরে দেশের শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যান্ত অঞ্চল পর্যন্ত মাদকের আগ্রাসন মাদক সম্রাটদের দখলে । তবে মাঝে মধ্য মাদকবিরোধী প্রশাসনের কিছু তৎপরতা লক্ষ্য করা গেলেও সাম্প্রতিক প্রায় বছর খানেক ধরে প্রশাসনের উদাসীনতা ও নিরব তৎপরতায় মাদকের মহাযজ্ঞ চলছে নগরের বেশ কিছু এলাকায়।
তার মধ্য অন্যতম চিহ্নিত হিসেবে রয়েছে খুলনা নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের দোলখোলা শীতলা বাড়ি সংলগ্ন গলি জুড়ে বখাটে নেশাখোরদের উৎপাত।
উল্লেখ্য খুলনায় পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক বিপিএম( বার) ও পিপিএম সেবা যোগদানের পর থেকে একের পর এক অপরাধ বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকা চিরুনি অভিযান চালিয়ে অপরাধী চক্রদের আটক ও শহরের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সম্রাটদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে নগরীর সিটি কর্পোরেশন এলাকার ২৭ নং ওয়ার্ডের মিস্ত্রিপাড়া পূর্ব বানিয়া খামার গফফারের মোড় মতলবের মোড় ব্যাংকার্স গলি বাগমারা ব্রিজ সংলগ্ন ঘুপচি এবাদত চলছে নিসার আড্ডা এদিকে শীতলা বাড়ি সংলগ্ন নোয়াখালী মামার দোকান থেকে শুরু করে মিহির দারোগার বাড়ির পর্যন্ত।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কিশোর মাস্তানদের দাপট ও আধিপত্য রয়েছে চরমে।
পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে জানিয়েছে দোলখোলা মোড় সংলগ্ন ম্যাচের মাঠে সন্ধ্যার অন্ধকার নামতেই বহিরাগত সহ এলাকার কতিপয় বেশ কিছু যুবকেরা গাজার আড্ডায় মেতে ওঠে।
ওই এলাকা থেকে একাধিক সূত্রে জানা গেছে এ সকল নেশাখোর যুবকদের মাঝে গাঁজাও ইয়াবা সরবরাহ করছে স্হানীয়দের গোপন সখ্যতায় বহিরাগত কিছু ভ্রাম্যমান মাদক ব্যবসায়ীরা এরা অধিকাংশই উঠতি বয়সী যুবক কেউ দিনে ভ্যান চালায় তরকারি বিক্রি করে কাঠমিস্ত্রির কাজ করে অথচ এরা এলাকায় ভ্রাম্যমান মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
ভুক্তভোগীরা আরো জানিয়েছেন ভ্রাম্যমান মাদক ব্যবসায়ী যুবকদের এলাকায় ভিড়তে সহযোগিতা করেছে এই এলাকার কতিপয় কিছু মাদক ব্যাবসয়ীরা কারণ এদের মাধ্যমে বিভিন্য ধরনের মরণ ঘাতি নেশাদ্রব্য বিক্রি করে কামিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
আর এতেকরে অধঃপতনে যেতে বসেছে যুবসমাজ এই যুবসমাজের মাঝে বিভিন্ন কৌশলগত ভাবে ইশারা-ইঙ্গিতে সন্ধার পরে অতি গোপনে সিগারেটের মধ্যে গাঁজা ভরে প্রতি সিগারেট ১০০ টাকা দরে বিক্রি করছে এবং ইয়াবা ও সরবরাহ করছে।
অভিযুক্ত মাদক কারবারীরা দিনের অধিকাংশ সময় ধরে এই এলাকা দিয়ে ঘোরাফেরা করে।
এর আগে ও নেশা বিক্রির বিষয় নিয়ে এলাকার সুশীল সমাজ থেকে উল্লেখিত এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর বরাবর অভিযোগ করলেও আজ পর্যন্ত তার কোন সুষ্ঠু প্রতিকার হয়নি এমনকি তানার পক্ষ থেকে মাদকবিরোধী কোন অভিযান ও পরিচালনা করেননি। তবে মাঝেমধ্যে পুলিশের সামান্যতম তৎপরতা দেখা গেলেও সুষ্ঠ সমাধান হচ্ছে না মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা আরও বলেন রাতে দোলখোলা মোড় থেকে শীতলা বাড়ি পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার পথে ম্যাচের মাঠের পাশ থেকে হেটে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পরেছে গাজার গন্ধে।
পাশাপাশি বহিরাগত যুবকদের আড্ডার কারণে দোলখোলা মৌলভীপাড়া মিস্ত্রিপাড়া রোকনুদ্দিন সড়ক জুড়ে চোরের উপদ্রব বেড়েছে। ২৭ নং ওয়ার্ড দোলখোলা এলাকার সুশীল সমাজ আরো জোড়ালো অভিযোগ করে বলে এই নেশা দ্রব্য সেবনের টাকার যোগান দিতে গিয়ে যুবসমাজ চুরি ছিনতাই রাহাজানী মোবাইল জুয়া প্রতারণা সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে নিত্যনৈমৈত্য এই এলাকা জুড়ে অপকর্ম ঘটিয়ে যাচ্ছে।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে গত এক সপ্তাহ আগে শীতলা বাড়ির পাশের উল্লেখিত গলি থেকে রাত্র সাড়ে ৯ টা থেকে দশটার দিকে খুলনা সদর থানার একদল টহলরত পুলিশ সন্দেহজনকভাবে এলাকার চিহ্নিত কিছু মাদক বিক্রেতাদের ধরপাকড় করলেও থেমে নেই এই এলাকায় নেশাখোর ও আড্ডাবাজদের উৎপাত। ফলে অতি দুর্বিষহ জীবন পার করছে ওয়ার্ডের শিক্ষিত ও ভদ্র সমাজ।
আরও খবর...