মোঃ রিপন হোসেন, ফুলতলা (খুলনা) : খুলনা জেলার ফুলতলা ও খান জাহান আলী থানার আইন শৃঙ্খলা চরম অবনতি হয়েছে।এই দুই থানায় প্রতি নিয়ত মারা মারি, চুরি ডাকাতি বেড়েই চলেছে।এর ভীতর চলছে নিরব চাঁদাবাজি। পুলিশ উপস্থিত খুব কম। যেটুকু আছে থানা ভিত্তিক অথবা যেকোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে গল্প করা। কারণ তারা ও আছেন ভীষণ বিপদে,এই বুঝি চাকরি যায়?
গত ৪ই সেপ্টেম্বর খান জাহান আলী থানার যোগিপোল ইউনিয়নের মোঃ সিরাজুল ( ৩৮)কে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে চোর অপবাদ দিয়ে আটরা ইউনিয়নের শিরোমণি দক্ষিণ পাড়া কালভার্ট মোড়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।তার চোখের ভীতর পেরাক ঢুকিয়ে দ্যায়।এ ছাড়া আলিম জুট মিলের সাবেক শ্রমিক নেতা মোঃ জাকারিয়াকে ইস্টান জুট মিলের সামনে রেলের উপর কতিপয় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে মৃত্যু ভেবে চলে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখনও মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এর ভীতর চলছে নিরব চাঁদাবাজি , যদি টাকা না দেওয়া হয় তাহলে জ্বালাও পোড়াও মামলা দেওয়া হবে ।নাম না প্রকাশ করার শর্তে লেটেস্ক প্লান্টের এক কর্মচারী বলেন টাকা না দিলে আমাকে ফ্যাক্টরিতে ঢুকতে দেয়নি ।পরে উনি এখানে থেকে ট্রান্সফার হয়ে চলে গিছে। এরকম আরও অনেক আছে।
এছাড়া ফুলতলা থানায় ও প্রতিদিন কম বেশি চুরি ডাকাতি লেগেই আছে। দামোদর ইউনিয়নের বিভিন্ন যায়গায় পাহারা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন যায়গায় ভ্যান চুরির ও ধুম পড়েছে। এমতাবস্থায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট এই সব এলাকার মানুষের দাবী, অতিদ্রুত পুলিশ টহল জোরদার করে এলাকার শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেই ব্যবস্থা করেন।