কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: বড় একটি যোগান আসে কোরবানি ঈদে। ব্যবসায়ীদের বারে ব্যস্ততা। তবে এ বছর কুষ্টিয়ায় চামড়ার আড়ৎ গুলোর চিত্র একেবারে ভিন্ন। মহাজনের কাছ থেকে পাওনা টাকা তুলতে না পেরে অর্থ সংকটে চামড়া ব্যবসায়ীরা। ঢাকা ট্যানারি মালিকদের কাছে কোটি কোটি টাকা বকেয়া থাকায় অর্থ সংকটে তারা।এবার ঈদে পশুর চামড়া সংগ্রহ নিয়ে শঙ্কায় তারা। আবার বকেয়া টাকা না পেয়ে ছেড়েছেন অনেকেই ব্যবসা।
দেশের বৃহত্তম চামড়ার মোকাম কুষ্টিয়া বাবুরআলি গেট।এখানে ব্যবসায়ী রয়েছে প্রায় ৪৫ জনের মতো। আর পশুর চামড়া, প্রক্রিয়াজাত করে পাঠানো হয় ঢাকা সাভারে ট্যানারিতে। কুরবানীর ঈদে আসলে ব্যস্ততা বেড়ে যায় চামড়া ব্যবসায়ীদের। তবে এবছর কুষ্টিয়ার চামড়ার আড়ৎ গুলোর চিত্র একেবারে ভিন্ন।নেই কোন শ্রমিকদের আনাগোনা, নেই তেমন চামড়া কেনার প্রস্তুতি ব্যবসায়ীদের। মহাজনের কাছ থেকে পাওনা টাকা না পাওয়ায় অর্থ সংকটে পড়েছে চামড়া ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন এ বছর লবণের দাম ও শ্রমিকদের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে চামড়া ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা আরো জানান বড় বড় ট্যানারি মালিকের কাছে জিম্মি চামড়া ব্যবসায়ীরা।সংকট দূর করতে হলে সিন্ডিকেট ভাঙ্গার দাবি তাদের।
এ বিষয়ে চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক আনিস কোরাইসি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে বকেয়া টাকা না পাওয়াই ক্ষুব্দ ব্যবসায়ীরা।ঐতিহ্যবাহী এই চামড়া ব্যবসার অর্থ সংকট দূর করতে সরকারের কাছে ঋণ চাই ব্যবসায়ীরা। এভাবে চলমান সংকট মেটানো না গেলে চরম বিপাকে পড়তে পারে ব্যবসায়ীরা।তাতে কুষ্টিয়া জেলার চামড়া অবিক্রিত থাকতে পারে এমনটাই দাবি করছেন এখানকার চামড়া ব্যবসায়ীরা।
ন/ভ