কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারা দেশের সাথে উত্তপ্ত খুলনার জনপদ!
সর্বশেষ পরিমার্জন:
বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪
১৫
বার পঠিত
»»»»» »»»»»
বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো: কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশ এখন উত্তপ্ত উত্তাল রণাঙ্গন হামলা সংঘর্ষে নিহত ৬ জন। চলমান কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে দেশের সর্বমহল। আর এই আন্দোলনে বিক্ষিপ্তভাবে প্রতিবাদ জানাতে পিছিয়ে নাই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য কলেজের ছাত্র সংগঠন। অবরুদ্ধ করে রেখেছে নগরীর শিববাড়ির মোড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখ থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত থেকে থেকে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের স্লোগানের মাধ্যমে সরকার প্রধানের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদ তারা বলছে তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে সরকার সরকার, রাজাকার আসছে রাজপথ কাঁপছে, দাবি আদায়ে আসলাম রাজাকার সাজলাম।
সাথে মিছিল লাঠি সোটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পাশাপাশি বিক্ষিপ্ত আন্দোলনকারী ছাত্ররা বলছে সরকারি চাকুরিতে মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ সহ অন্যান্য মিলে মোট ৫৬ শতাংশ চাকুরীর কোটা সরকার তার নিজের আয়ত্তে রেখে সংসদে বিল পাস করার পর থেকে সারা দেশব্যাপী সরকারি চাকুরির কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান জুলাই মাসের প্রথম থেকে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজপথে মিছিল সমাবেশ ও সাময়িক অবরোধের মতন কর্মসূচি পালন করে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মেধার বিনিময়ে চাকরি প্রাপ্তির দাবি জানাতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকারের বৈষম্য নেতিবাচক কঠোর সিদ্ধান্তের জায়গায় অনর থেকে ছাত্রদের কোটা বিরোধী আন্দোলনের দাবি মেনে নেওয়া তো দূরের কথা উপরন্ত তাদের বিরুদ্ধে সরকারের পোষ্য গুন্ডা বাহিনী ছাত্রলীগ সংগঠনের ক্যাডার বাহিনীদের আন্দোলনকারীদের ওপর লেলিয়ে দিয়ে অমানবিকভাবে লাঠিচার্জ মারধর এমনকি গভীর রাতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল থেকে ছাত্রছাত্রীদের রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে পাশাপাশি দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা দিলে চলমান ছাত্র আন্দোলন দেশজুড়ে উত্তাল হয়ে উঠে উল্টো আগুনে ঘি ঢালার সামিল হয়েছে।
ফলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন দেশজুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে আন্দোলন চাঙ্গা করার লক্ষ্যে এবং সরকারের যে সকল ক্যাডাররা নিরীহ ছাত্র ছাত্রীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে আহত এবং ৬ টি তরতাজা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ওই সকল ছাত্রলীগের গুন্ডাদের সরকার নিজ দায়িত্বে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং অনতিবিলম্বে কোটা সংস্কার করতে হবে। তা না হলে কোটা বিরোধী দাবি আদায়ের আন্দোলন করতে এসে আমরা যখন রাজাকারে পরিণত হয়েছি তখন সরকার যদি ছাত্র আন্দোলনের সঠিক সমাধান না করে প্রয়োজনে আমরা শরীরের কাফনের কাপড় বেঁধে রাজপথে থেকে কঠিন থেকে কঠিনতম আন্দোলনের মাধ্যমে নির্যাতিত সরকারকে উৎখাত করে তবেই ঘরে ফিরব।
প্রয়োজনের রাজপথ রেলপথ নৌ পথসহ দেশের সকল ধরনের যান চলাচল এমনকি দাবি না মানলে ছাত্র আন্দোলন কঠোর রূপ ধারণ করবে। যার ফলে দেশের শিল্প কলকারখানা এমনকি সরকারি সকল অফিস ঘেরোয়া করে দেশ অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে দেশজুড়ে চলমান আন্দোলনকারীরা। এদিকে চলমান ছাত্র আন্দোলনের উত্তালের মুখে আকাশের বুক চিরে উঁকি দেওয়া জ্বলন্ত ছয়টি উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন ঘটল। ফলে ৩০ লক্ষ শহীদ আর ৩ লক্ষ বিনঙ্গনার সম্ভ্রম হানির বিনিময়ে পাকিস্তানি বিরোধী শক্তির রক্তচক্ষু রুখে দিয়ে একদল নিরাস্ত্র বাঙালির আত্মত্যাগের বিনিময় ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই ভূখণ্ড মুক্ত স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনের সক্ষমতা অর্জন করলেও পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আরেকটি কলঙ্কের অধ্যায় উন্মোচনের মাধ্যমে রক্ত অক্ষরে দেশের ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হোলো মাইল ফলক হিসেবে।
আর এই ধরনের ঘৃণিত ঘটনা ঘটানোর জন্য নেপথ্যে থেকে যারা ইন্ধন দিচ্ছে তাদের মনুষত্ব আজ কোথায় প্রশ্ন দেশের সরকার প্রধানের কাছে আঠারো কোটি মানুষের।
কারণ সন্তান হারানো বিমূর্ষ আর্তনাদ আর আহাজারিতে নিস্তব্ধ হতভম্ব আকাশ বাতাস। কারণ কি ছিল তাদের অপরাধ কেনোই বা তারা হতে যাবে রাজাকার স্বাধীনতার পড়ন্ত বিকেলের ৫২ বছর অতিবাহিত আর আজকের প্রজন্ম সবেমাত্র ২৫ থেকে ২৮ স্বাধীনতা যুদ্ধ এদের কাছে শুধুই ইতিহাস রক্তে তাদের এখনো বহমান মাতৃ দুগ্ধের গন্ধ। দুচোখ ভরা স্বপ্ন শিক্ষাঙ্গনের গন্ডি পেরিয়ে যোগ্যতা ভেদে দুঃখ কষ্টের দ্বার রুদ্ধ করে সুখের ভ্যলায় ডানা ভাসাবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্ম প্রাপ্তিতে।
সারাদেশ ও বহির্বিশ্ব সাক্ষী গত এক জুলাই থেকে সরকারি চাকুরির কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের শামিল হয়ে রাজপথে
কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রথমে রাজপথে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশ পূর্বক রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের কথা থাকলেও সেটি এখন দেশজুড়ে বৃহৎ আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। বর্তমান উত্তাল ছাত্র আন্দোলনের কারণ হিসেবে দেশের ছাত্র তথা সাধারণ জনগণ সরকার প্রধান ও তার মন্ত্রী পরিষদের কর্তাদের এক এক সময় এক এক ধরনের কটাক্ষ ও কুরুচিপূর্ণ উস্কানিমূলক বক্তব্যর প্রেক্ষিতে ক্রমান্বয়ে কোটা সংস্কার ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে সেই দায়ভারের কারণ হিসেবে সরকারের দিকেই আঙ্গুল তুলছে ভুক্তভোগী আমজনতা।
অপরদিকে দেশের জনগণ তথা বিশ্বব্যাপী কঠোর সমালোচনার তোপের মুখে ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনী কর্তৃক অতর্কিত হামলা চালিয়ে আন্দোলনরত ছয় জন ছাত্রের মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে।