সর্বশেষ পরিমার্জন:
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
১৩
বার পঠিত
»»»»» »»»»»
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন।বুধবার বিকেলের দিকে কুমারখালী পৌরসভার ছালপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন–উপজেলা সদকী ইউনিয়নের দড়িমালিয়াট গ্রামের কাদের প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল লতিফ (২৫), একই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে মো. সাইম (১৯) এবং ওই ইউনিয়নের করাতকান্দি গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে সাগর হোসেন সাবু (২২)। আহতদের মধ্যে লতিফ ও সাইমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোহানুর রহমান সোহানের সমর্থকদের সঙ্গে সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান সবুজের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন উভয়পক্ষের সমর্থকরা লাঠিসোটা, হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে সবুজের পক্ষের আব্দুল লতিফ ও সাইম এবং সোহানের পক্ষের সাগর হোসেন আহত হন।
আহত লতিফ ও সাইমের ভাষ্য, সদকী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা শিমুলের বিরুদ্ধে সম্প্রতি নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শিমুল ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোহানের লোক। তারা এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে সকালে ওই ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলেন। পরে দুপুরে তারা ছালপট্টিতে চা পান করছিলেন। এ সময় সোহানের নির্দেশে ছাত্রদলের বেশকিছু কর্মী লাঠিসোটা, হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে সোহানুর রহমান সোহান বলেন, তিনি বা তাঁর লোকজন কোথাও মারামারি করেনি। তবে তিনি শুনেছেন ঘটনার দিন সকালে লতিফ ও সাইম নামে দুই ছাত্রদল কর্মী ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে হট্টগোল করেছেন।
অপর আহত সাগর হোসেন সাবুর ভাষ্য, ঘটনার দিন সকালে লতিফ ও সাইম লোকজন দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে তাঁর একজন আত্মীয়কে মারধর করে। মারধরের কারণ জানতে তিনি ছালাপট্টিতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। এতে তাঁর মাথা ফেটে যায়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে