1. smborhan.elite@gmail.com : Borhan Uddin : Borhan Uddin
  2. arroy2103777@gmail.com : Amrito Roy : Amrito Roy
  3. news.rifan@gmail.com : admin :
  4. holysiamsrabon@gmail.com : Siam Srabon : Siam Srabon
  5. mdr028999@gmail.com : Rayhan : Md Rayhan
ইন্দুরকানীতে আ.লীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা,ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট  - The NAGORIK VABNA
শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২২ পূর্বাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা
সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি/সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা শীঘ্রই নির্দেশনাবলী পড়ে আবেদন করুন অথবা 09602111973 বা 01915-708187 নাম্বারে যোগাযোগ করুন...
আজকের শিরোনাম :
হানিয়ার সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে ট্রলের শিকার লুবাবা সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গ্রেফতার সদরপুরে মা ইলিশ ধরা বন্ধে জনসচেতনতা সভা নাগরিক ভাবনা সহ সম্পাদকের সঙ্গে প্রতিনিধিদের সৌজন্য স্বাক্ষাত বিস্ফোরক ও হত্যা মামলার আসামী ছেড়ে দেয়ার ঘটনার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ তিন পুলিশ প্রত্যাহার মাদারগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের মুক্তির দাবীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ঐতিহাসিক লোহাগাড়ার  চুনতির সীরাতুন্নবী (স:) মাহফিল এর আজ সমাপনি দিবস শিক্ষকদের নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সাভারে  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভারতের রামগুরু মহারাজ ও বিজেপি নেতা শ্রী নিতিশ রানের গ্রেফতারের দাবীতে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ সমাবেশ

ইন্দুরকানীতে আ.লীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা,ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট 

  • সর্বশেষ পরিমার্জন: শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪
  • ৪৬ বার পঠিত

»»»»» »»»»»

পিরোজপুর অফিস ও ইন্দুরকানী প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে গত কয়েক দিনে ব্যাপক নৈরাজ্য ও সহিংস ঘটনা ঘটেছে। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর ৫ আগস্ট বিকেল থেকে অসংখ্য আ.লীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা,বাড়িঘর, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে লুটপাট চলছে। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হামলা- ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে পাড়েরহাট ইউনিয়নে। হামলা আতঙ্কে কয়েক শ নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ও এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। চলমান এ অস্থিরতায় বিভিন্ন গ্রামে চরম আতঙ্কে রয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ।
এদিকে সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থেকে এলাকায় কোন রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে দলীয় নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধ মামলার বাদী সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাহাবুব আলমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে জামায়াত-বিএনপির কর্মীরা। হামলার ভয়ে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা ঘরবাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। এছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল খান নেওয়াজ এর বাসায় ভাঙচুর, পাড়ের হাট ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান শাওনের টগড়া মোড়ের ব্যক্তিগত অফিস সহ আরো দুটি দোকান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া পাড়ের হাট ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি পান্না তালুকদার এর বাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, পাড়েরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রবিউল এর বাড়ি লুটপাট ও ভাংচুর, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফার বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট, পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদের বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার মু্ড়াল ভাংচুর,বৌডুবী অফিস ভাংচুর ও লুটপাট, কালীবাড়ি অফিস ভাংচুর ও লুটপাট, ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি জলীল খান এর বাড়ী ও গরু লুট, পাড়ের হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য লাহুরী গ্রামের পবিত্রর বাড়ি লুটপাট ও ভাংচুর,  পাড়ের হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হাওলাদার এর বাড়ি ভাংচুর, পাড়ের হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন হাওলাদার এর বাড়ি ভাংচুর, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উমেদপুর গ্রামের মন্নান ফরাজী এর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট,ওয়াপদা বাজার আ.লীগের অফিস ভাংচুর ও লুটপাট, টগড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা নাছির হাওলাদার এর বাড়ি ভাংচুর,পাড়ের হাট ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন- আহ্বায়ক  জুয়েল এর টগড়া ফেরিঘাটের দোকান ভাঙচুর, যুবলীগ নেতা মিজান এর দোকান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ও হাসানের দোকান লুট। ভাঙচুর করা হয়েছে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি সেতুর টোল প্লাজায় । সেখানে জামাত শিবিরের কর্মীরা সেতুর নাম মুছে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামে সেতুর নামকরণ করে ব্যানার টানিয়ে দিয়েছে।
পত্তাশীর রামচন্দ্র গ্রামে কমলেশ নামে এক হিন্দু বাড়িতে ভাংচুর, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মজিদ ফকিরের উপর হামলা,উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এইচ এম বজলুর রহমান মিন্টুর বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট,পত্তাশী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের বাজারের বাসায় ভাঙচুর করা হয়েছে এবং পুকুরের মাছ লুট করে নেয়া হয়েছে।
এছাড়া বালিপাড়া সাতঘর এলাকার ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শারীরিক প্রতিবন্ধী ইদ্রিসের গরু, ছাগল লুট, দোকান ঘর ভাঙচুর, আ.লীগ কর্মী মজিবর শেখ ও তার ছেলে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শাহিন শেখের বসতঘর ভাংচুর,  বালিপাড়া গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.লীগ সমার্থক দেলোয়ার মোল্লার গরু লুট, আ.লীগ নেতা এ হাছান হিরনের একটি গরু লুট,বালিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ শামীম এর বসতঘর ভাংচুর, লুটপাট ও মারধর, বালিপাড়া বাজারের ফার্মেসী ব্যাবসায়ী শাকিল খানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায়, ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ্ আলম মল্লিকের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ,বালিপাড়া ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফের বসতঘর ভাংচুর, বটতলায় আরো দুটি বাড়িতে ভাঙচুর লুটপাট,বালিপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর সেপাইর বসতঘর,তার ভাই আজিম সেপাইর বসতঘর, ছেলে হাফিজুল ও ইকবাল সেপাইর বসতঘর ভাংচুর। ফকিরহাটে দুটি দোকান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বালিপাড়ার সাউদখালীতে ইউপি সদস্য শাহারিয়ারের বাসায় ভাঙচুর ও লুটপাট, শেখ রাসেল ক্লাব ভাঙচুর, সাউদখালী গ্রামের স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা লোকমানের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ ও মুরগির ফার্মে লুট হয়েছে।
চন্ডিপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী জোমাদ্দারের বসতঘরে হামলা, কলারন ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের মটর সাইকেল ও বসতঘরে অগ্নিসংযোগ এবং কুপিয়ে গুরুতর জখম,পূর্ব চরবলেশ্বর গ্রামের সংখ্যালঘু পরিমল সরকারের বসতঘর লুট,কলারনে সংখ্যালঘু রতনের বাড়ি লুট, খোলপটুয়া গ্রামে এক আ.লীগ কর্মীর পরিবারের সদস্যদের মারধর,চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দলীয় অফিস দখল করে নেয় বিএনপি সমর্থকরা।
অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মৃধা মোঃ মনিরুজ্জামানের বসতবাড়িতে ভাঙচুর,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান ছগিরের বসতবাড়িতে ভাঙচুর,অগ্নিসংযোগ, মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ,সাতটি গরু, পুকুরের মাছ লুট,ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোবারেক আলী হাওলাদারের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাট, ঘোষের হাট বাজারে বাশার শিকদারের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাট, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল শিকদারের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট,ঘোষের হাট বাজারের দোকান ভাঙচুর, উপজেলা যুবলীগ নেতা মাসুদ রানার ছাড়াখালিতে দোকানঘর দখল, সেঁউতিবাড়িয়া গ্রামে ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন হাওলাদারের উপর হামলা,দক্ষিণ ইন্দুরকানী মিল বাড়ি এলাকায় সংখ্যালঘু দেবদাস মাস্টার ও সাবেক ইউপি সদস্য দিপঙ্কর ঢালি দিপুর বসতঘরে অগ্নিসংযোগ, নির্মলের বসতঘর ভাংচুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন কুমার রায়ের বসতঘর ভাংচুর করা হয়। এছাড়া ইন্দুরকানী  উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের দুটি কার্যালয়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ কার্যালয় ভাংচুর করা হয়। এছাড়া আরও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী বলেন,  গত দুই দিনে নজিরবিহীন তান্ডব চালানো হয়েছে ইন্দুরকানীতে। সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীদের  বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরও খবর...

আপনি কি লেখা পাঠাতে চান?