বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত আবু সাঈদের নামে ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ নেতৃত্বে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘আবু সাইদ ব্রিগেড” গঠন করেন এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আবু সাঈদ পরিবার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আবু সাইদের পরিবারকে যোগাযোগ না করেই এটি গঠন করা অভিযোগ।
গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও কে সভাপতি, প্রফেসর ডক্টর শূচিতা শরমিন, ডক্টর সাবের আহমেদ চৌধুরী, এয়ার কমোডর ইয়াজদানী (অব:) ও এয়ার কমোডর আব্দুস সামাদ (অব:) কে সহ সভাপতি এবং সেলিম ওমরাও খান কে সাধারন সম্পাদক করে ১১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। একদিক কয়েকটি ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ টেলিভিশন চ্যানেলে বলেন বিচার দাবি করেন সমাজে যেখানেই অন্যায়, অবিচার , অসংগতি ও বঞ্চনা সেখানেই আবু সাইদ ব্রিগেড প্রতিবাদ করবে এবং এর প্রতিকার নিশ্চিত করতে অবিচল থাকবে আবু সাইদ ব্রিগেড।
কিন্তু রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ উপাচার্য নিয়োগের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগদান করার পর থেকেই ক্যাম্পাসে ধারাবাহিক অনুপস্থিত থেকে ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে বসে ব্যাপকভাবে একাডেমিক, প্রশাসনিক, ও আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, জালিয়াতি, ভর্তি বাণিজ্য, হয়রানী, নির্যাতন, নিপীড়ন আর স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়েছেন। তিনি কিভাবে আবু সাইদ ব্রিগেড সংগঠন অন্যায় অবিচার বিরুদ্ধে কাজে করবে। এদিকে আবু সাইদের পরিবারের অভিযোগ তাদের সাথে কোন যোগাযোগ না করেই এটি গঠন করা হয়। আবু সাইদকে নিয়ে এ ধরনের সংগঠন গঠনে বিরতা থাকার ও অনুরোধ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদনও করেছেন তার পরিবার।
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন বলেন, আমাদের পরিবারের কারো সাথে যোগাযোগ করে নাই। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন আমাকে বলছে আবু সাঈদ নামে বলে একটি সংগঠন বানাইছে। আমি শুনেছি ওনি বলে আওয়ামী লীগের অনুগত লোক? ওনি কি সেই দুর্নীতিবাজ ভিসি। যে নিজের পাপ ঢাকার জন্য আবু সাঈদকে সামনে নিয়ে এসেছে। এই সংগঠন বানাইছে। ওনি আবু সাঈদ মারা যাওয়া সময় তিনি ভিসি থাকলেও একই ঘটনাই ঘটতো। উনি জাহিল করতেছে উনি ভালো লোক, পরহেজগার লোক, উনি ছাত্রদের পক্ষের লোক এগুলো জাহেল করার চেষ্টা করতেছে। ওনি তো একদিনও আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করতে আসে নাই, ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস, এসপি, ডিসি এসে কবরত জিয়ারত করে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন বলেন, এর আগে বেরোবি চেটেপুটে খাইছে, কলিমুল্লাহ ধান্দাবাজ। এই লোক আর তার দোসররা এত নির্লজ্জ কেমনে হয়। লজ্জা শরম কি নাই নাকি। ভার্সিটি চারটি বছর হাওয়া ভবনের মতো করে রাখছিলো। এখন আবার শুরু করছে।
আরেক শিক্ষার্থী মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন , আমাদের সাবেক ভিসি ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ শেখ হাসিনার অতি ঘনিষ্ঠ একজন মানুষ। যাকে হাসিনার তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী নাহিদ নিয়োগ দিয়েছিলেন। উনাকে তো কখনো প্রতিবাদ করতে দেখি নাই হাসিনার কোনো অপকর্মের বিরুদ্ধে। এখন উনি এসেছেন আমাদের শহিদ ভাই কে নিয়ে টানাটানি করতে। নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।