নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ সোমবার ও পরের দুইদিন মঙ্গলবার এবং বুধবার অর্থাৎ ৫ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। দেশজুড়ে কারফিউ জারির প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত জানালো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সরকার পতনের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজের ডাকে অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচিতে সংঘাত-সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার সন্ধ্যা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। এর আগে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে ২১ থেকে ২৩ জুলাই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর অফিস আদালত স্বল্প পরিসরে খুলে দেওয়া হয়। গত সপ্তাহের রোববার (২৮ জুলাই) থেকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই)- এই তিন দিন সরকারি ও বেসরকারি অফিস চলেছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। আর বুধবার (৩১ জুলাই) ও বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস চালু ছিল। রোববার থেকে যথারীতি স্বাভাবিক নিয়মে অফিস আদালত চলছিলো। এরপর গত বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কারফিউ প্রতিদিন ১৩ ঘণ্টা শিথিল রাখা হয়। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় নিহতদের বিচাররের দাবিতে ফের আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে। ওই পরিস্থিতিতে শনিবার জরুরি বৈঠক ডেকে কারফিউ শিথিলের সময় আরো দুই ঘণ্টা বাড়িয়ে ১৫ ঘণ্টা দেওয়া হয়। তবে আন্দোলন আরো সহিংস হয়ে ওঠায় গতকাল রোববার সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সন্ধ্যা ৬টা থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারির ঘোষণা আসে। এই প্রেক্ষাপটে আগামী তিন দিন অর্থাৎ ৫ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। জনপ্রশাসন সচিব মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতেও অফিস আদালত খোলা রাখা যায় না। জানমালের নিরাপত্তায় আরো তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’ এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন বলবৎ করা হলো।