কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতে, ক্যাম্পাসটি বর্তমানে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে, কারণ এখানে আনসার বাহিনীর তেমন কোনো উপস্থিতি নেই। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে আনসারদের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদেরই নিয়োগ দেওয়া হোক পার্টটাইম ভিত্তিতে। কুবির শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এ উদ্যোগ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে যেমন আরও সুদৃঢ় করবে, তেমনি শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থারও উন্নতি ঘটাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বলেন, “ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা দিন দিন অবনতি হচ্ছে। আনসাররা এখানে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না, ফলে অনেক সময় নিরাপত্তা সংকট দেখা দেয়। যদি শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম ভিত্তিতে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে আমরা নিজেরাও নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব এবং পাশাপাশি কিছু আর্থিক সহায়তাও পাব।” আরেক শিক্ষার্থী জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা পড়ালেখার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। যদি তারা ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে কাজের সুযোগ পান, তবে সেটা হবে দ্বৈত সুবিধা—নিরাপত্তা এবং অর্থ উপার্জন।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদেরই নিরাপত্তা রক্ষায় নিযুক্ত করা একটি উদ্ভাবনী ধারণা হতে পারে, যা ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকর হয়েছে। ক্যাম্পাসে আনসার বাহিনীর আন্দোলনের পর কিছু আনসার সদস্যদের বহিষ্কারের পর তাদের আর কর্মস্থলে দেখা যায় না। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের মতে, এভাবে অনিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কোন ক্যাম্পাস চলতে পারে না। যার ফলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আনসার বাহিনীর অভাবেই শিক্ষার্থীরা এই বিকল্প সমাধানের প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে এসেছেন।
শিক্ষার্থীদের এই প্রস্তাব শুধুমাত্র তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে কুবি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হতে পারে জানান সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ, যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবে। তবে এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঠিক দিকনির্দেশনা ও যথাযথ পরিকল্পনা প্রয়োজন বলে মনে করেন তাঁরা।